আজ শনিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে অবস্থিত জনসভার মঞ্চ থেকে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ঘোষণা দেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে সেতু পেরিয়ে জাজিরার দিকে আসছেন। এমন ঘোষণার পর জাজিরা ও শিবচর প্রান্তে থাকা লাখো জনতা উল্লাসে ফেটে পড়েন। তরুণেরা মিছিল করেন, বাঁশি বাজিয়ে আনন্দ করতে থাকেন। আনন্দমিছিল করেছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলাকে সংযুক্ত করেছে। এ অঞ্চলের জেলাগুলো ছাড়াও পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছে দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা থেকে এসেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘শত বাধা পেরিয়ে আমাদের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা গর্বিত, আনন্দিত।’
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কাঁঠালবাড়ি-পদ্মা সেতু সংযোগ সড়কে আনন্দমিছিল করেছেন শরীয়তপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেনের সমর্থকেরা। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেন।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রাণপ্রিয় নেত্রী। আমরা উৎফুল্ল, আনন্দিত।’
কাঁঠালবাড়ি সড়কে বাঁশি বাজিয়ে আনন্দ করছিলেন ৫০-৬০ তরুণ। তাঁদের একজন দিদারুল করিম এসেছেন বরিশালের গৌরনদী থেকে। উচ্ছ্বসিত দিদারুল প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের প্রাণের সেতুটির উদ্বোধন হয়েছে। পদ্মাপাড়ে দাঁড়িয়ে উদ্বোধন ঘোষণা শুনে কালের সাক্ষী থাকলাম। আমরা যে কী আনন্দিত, তা বলে বোঝাতে পারব না।’
শরীয়তপুর জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক মুরদা মুন্সি এসেছেন কাঁঠালবাড়িতে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু আমাদের যোগাযোগ ও অর্থনীতির উন্নতির সঙ্গে শিল্প-সংস্কৃতির উন্নয়ন হবে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ক্ষণটি স্মরণীয় করে রাখতে এখানে এসেছি। শত বাধা পেরিয়ে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয়েছে। আমরা কৃতজ্ঞ, আনন্দিত, উদ্বেলিত।’