রাজধানীর কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং সংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ, পশ্চিম এলাকায় যে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন নিহতের ঘটনায় এবার কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তৎসংলগ্ন তুরাগ নদীর দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় যে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ ইত্যাদি নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এ ঘোষণা দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে।
গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে মাঠ দখল নিয়ে মাওলানা সাদ ও জুবায়েরপন্থী অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন নিহত হন। এতে শতাধিক আহতের ঘটনা ঘটে। হতাহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
নিহতরা হলেন– কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু এলাকার বাচ্চু মিয়া (৭০), দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল হোসেন (৬০) এবং বগুড়ার তাইজুল ইসলাম। তাদের মধ্যে বেলাল হোসেন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
মধ্যরাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্বনয়কদের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন সময় এমন হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জুবায়েরপন্থী সংগঠনটির মিডিয়া সমন্বয়ক মুফতী আমানুল হক।
এদিকে সাদপন্থীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মুহাম্মদ সায়েম গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ব ইজতেমার মাঠ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। আমাদের বেলাল হোসেন নামের এক সাথীর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ইজতেমার আগে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার জন্য সাদ অনুসারী মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। আর সাদপন্থীরা যেন ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে না পারেন, সেজন্য আগে থেকেই ময়দানে অবস্থান করছিলেন জুবায়েরপন্থীরা।