আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে তারা ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুথিদের অন্তত পনেরটি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।
পেন্টাগন বলেছে ‘নৌ চলাচল নির্বিঘ্ন’ রাখতে যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে।
রাজধানী সানাসহ ইয়েমেনের প্রধান কয়েকটি শহরে কিছু বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
গত নভেম্বর থেকে হুথিরা লোহিত সাগরে অন্তত একশ জাহাজে হামলা করেছে এবং এর মধ্যে দুটি নৌযান ডুবে গেছে।
বিদ্রোহী এই গোষ্ঠীটি বলেছে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিশোধ নিতে তারা এসব হামলা করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকাণ্ডের দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে এবার হুথিদের অস্ত্র সম্ভার, ঘাঁটি ও অন্য উপকরণ লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে।
লেবাননের ভেতরে হিজবুল্লাহর সাথে লড়াইয়ে ৮ ইসরায়েলি সৈন্য নিহত
হুথি সমর্থিত মিডিয়া জানিয়েছে যেসব শহর আক্রান্ত হয়েছে তার মধ্যে সানা একটি।
সোমবার হুথিরা জানিয়েছে তারা ইয়েমেনের আকাশসীমায় থাকা যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত এমকিউ-৯ রিয়েপার ড্রোন ভূপাতিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী একটি মনুষ্যহীন আকাশযান হারানোর কথা স্বীকার করেছে।
গত সপ্তাহে পেন্টাগন বলেছে হুথিরা ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর জাহাজ লক্ষ্য করে ‘জটিল হামলা’ চালিয়েছে। যদিও হুথিদের নিক্ষেপ করা সব কিছুই গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
ইয়েমেনের লড়াইরত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব কিছুটা প্রশমিত হওয়ায় সানায় গত দু বছর তেমন কোন বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটেনি।
তবে লোহিত সাগরে নৌযানের ওপর হামলার পাশাপাশি হুথিরা সরাসরি ইসরায়েলে বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
গত জুলাইতে ইয়েমেন থেকে পাঠানো ড্রোন হামলা হয়েছে তেল আবিবে। এ ঘটনায় একজন নিহত ও দশ জন আহত হয়।
গত মাসে তারা ইসরায়েলে বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে, যার একটির লক্ষ্য ছিলো ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর।
উভয় ঘটনাতেই ইসরায়েল ইয়েমেনের বিভিন্ন জায়গায় হামলা করে পাল্টা জবাব দেয়।
এর আগে বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও আরটি দেশ লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হুথিদের বিরুদ্ধে হামলা চালায়।
গাজায় হামাস, লেবাননে হেজবুল্লাহর পর মধ্যপ্রাচ্যে হুতিরাও ইরান সমর্থিত নেটওয়ার্কের অংশ।
সূত্র বিবিসি বাংলা