০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গরু মাফিয়া ইমরানের  সাদেক এগ্রো উচ্ছেদ করলেন ডিএনসিসি 

  • Md Rasel Mia
  • সময়ঃ ১২:০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪
  • ৬৯ সময়

স্টাফ রিপোর্টার:রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ‘সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম’ উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই অভিযান শুরু হয়।প্রভাবশালীদের সঙ্গে ওঠাবসা তার। চোখ ধাঁধানো বিজ্ঞাপন আর নানা চমকের কারণে বারবার আলোচনায় আসে তার খামার। সেখানে নিজেই ক্রেতাদের হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানান। দেখেশুনে মনে হয় এই ‘সাদেক এগ্রো’ ঘিরেই যেন পরিচালিত হয় তার সার্বিক কার্যক্রম। কিন্তু এই খামারের আড়ালে দিনে দিনে উত্থান ঘটেছে এক গরু মাফিয়ার, যার নাম শাহ ইমরান হোসেন।

ছাগলকান্ডে তছনছ রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউরের সাজানো সংসার

ডিএনসিসির কর্মকর্তারা জানান, সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম রামচন্দ্রপুর খাল দখল করে রাস্তার একাংশে বেড়া দিয়ে অবৈধভাবে পশুর হাট বসিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইমরান হোসাইন বলেন, ‘আমি তো এই জমির মালিক নই, একজন ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলাম। তাই উচ্ছেদ অভিযানে আমার কিছু যায়-আসে না। আমি অন্য কোথাও চলে যাব।’

সকালে সিটি করপোরেশন থাকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার আগে নিজেদের লোকজন দিয়ে স্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সরিয়ে নেন তিনি। এর আগে রাতের মধ্যেই অনেক পশু সরানো ইমরান।

উল্লেখ্য, সাদিক এগ্রো ফার্মের মালিক গবাদিপশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি ইমরান হোসেন।

এ খাতের অনিয়ম দেখার দায়িত্বে থাকা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরও তার হাতের মুঠোয়। কথামতো না চললে অন্য খামারিদের বিরুদ্ধে যখন তখন মামলা ঠুকে দেন। দাপট দেখিয়ে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদও দখলে নিয়েছেন শাহ ইমরান হোসেন।

ঈদুল আজহার আগে সাদিক এগ্রো ১৫ লাখ টাকার ছাগল বিক্রির ভিডিও প্রকাশের পর থেকে একের পর এক তথ্য আসতে থাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

এরপর একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করে এনবিআরের মতিউরের সম্পদের তথ্য।দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে রাজধানী পর্যন্ত বিস্তার করেছেন গরু চোরাচালানের সিন্ডিকেট। ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে চোরাইপথে নানা জাতের গরু আনা হয়। সেজন্য স্তরে স্তরে রাখা হয় দালাল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে তোলা হয়েছে গরু রাখার গোপন ডেরা। ঢাকার বছিলায় খাল দখল করে গড়ে তুলেছেন এগ্রো ফার্ম। প্রয়োজনে ব্যবহার করেন তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, আমলা এবং ব্যবসায়ীদের।

About Author Information

Md Rasel Mia

একাকিত্ব জীবন  জাপানে ৬ মাসে মৃত ৪০ হাজার বৃদ্ধ, বিচিত্র সংকটে উদীয়মান সূর্যের দেশ

গরু মাফিয়া ইমরানের  সাদেক এগ্রো উচ্ছেদ করলেন ডিএনসিসি 

সময়ঃ ১২:০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ‘সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম’ উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এই অভিযান শুরু হয়।প্রভাবশালীদের সঙ্গে ওঠাবসা তার। চোখ ধাঁধানো বিজ্ঞাপন আর নানা চমকের কারণে বারবার আলোচনায় আসে তার খামার। সেখানে নিজেই ক্রেতাদের হাসিমুখে অভ্যর্থনা জানান। দেখেশুনে মনে হয় এই ‘সাদেক এগ্রো’ ঘিরেই যেন পরিচালিত হয় তার সার্বিক কার্যক্রম। কিন্তু এই খামারের আড়ালে দিনে দিনে উত্থান ঘটেছে এক গরু মাফিয়ার, যার নাম শাহ ইমরান হোসেন।

ছাগলকান্ডে তছনছ রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউরের সাজানো সংসার

ডিএনসিসির কর্মকর্তারা জানান, সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম রামচন্দ্রপুর খাল দখল করে রাস্তার একাংশে বেড়া দিয়ে অবৈধভাবে পশুর হাট বসিয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইমরান হোসাইন বলেন, ‘আমি তো এই জমির মালিক নই, একজন ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলাম। তাই উচ্ছেদ অভিযানে আমার কিছু যায়-আসে না। আমি অন্য কোথাও চলে যাব।’

সকালে সিটি করপোরেশন থাকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হওয়ার আগে নিজেদের লোকজন দিয়ে স্থাপনার গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সরিয়ে নেন তিনি। এর আগে রাতের মধ্যেই অনেক পশু সরানো ইমরান।

উল্লেখ্য, সাদিক এগ্রো ফার্মের মালিক গবাদিপশুর খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি ইমরান হোসেন।

এ খাতের অনিয়ম দেখার দায়িত্বে থাকা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরও তার হাতের মুঠোয়। কথামতো না চললে অন্য খামারিদের বিরুদ্ধে যখন তখন মামলা ঠুকে দেন। দাপট দেখিয়ে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদও দখলে নিয়েছেন শাহ ইমরান হোসেন।

ঈদুল আজহার আগে সাদিক এগ্রো ১৫ লাখ টাকার ছাগল বিক্রির ভিডিও প্রকাশের পর থেকে একের পর এক তথ্য আসতে থাকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

এরপর একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করে এনবিআরের মতিউরের সম্পদের তথ্য।দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে রাজধানী পর্যন্ত বিস্তার করেছেন গরু চোরাচালানের সিন্ডিকেট। ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে চোরাইপথে নানা জাতের গরু আনা হয়। সেজন্য স্তরে স্তরে রাখা হয় দালাল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গড়ে তোলা হয়েছে গরু রাখার গোপন ডেরা। ঢাকার বছিলায় খাল দখল করে গড়ে তুলেছেন এগ্রো ফার্ম। প্রয়োজনে ব্যবহার করেন তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, আমলা এবং ব্যবসায়ীদের।