ফিলিস্তিনের উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় আরও ৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা কথা জানিয়েছে গাজা উপত্যকার সরকারি মিডিয়া অফিস।
রোববার (২০ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র চান রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য খলিল আল-হাইয়া জানিয়েছেন, উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ায় ইসরাইলি হামলার পর শনিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় কমপক্ষে ৭৩ জন নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, দখলদার ইসরাইল উত্তর গাজায় আমাদের জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার জন্য অভিযান চালাচ্ছে। ইসরাইলি বাহিনী উত্তর গাজার আল-আওদা এবং কামাল আদওয়ান হাসপাতালকে তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।
শনিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাসভবনে ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তেল আবিব শহরের উত্তরে সিজারিয়া এলাকায় ওই বাসভবনে আঘাত হানে লেবানন থেকে উড়ে আসা একটি ড্রোন।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতের শুরু গত বছর। ওই বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় নির্বিচার ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তখন থেকেই হামাসের সমর্থনে ইসরায়েলে হামলা চালাচ্ছিল হিজবুল্লাহ। ইসরায়েলও পাল্টা জবাব দিচ্ছিল। তবে সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে হামলা জোরদার করে ইসরায়েল।
এএফপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১ হাজার ৪১৮ জন নিহত হয়েছেন। তবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এর অনেক বেশি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরের বেশি সময়ে ইসরায়েলের হামলায় সেখানে নিহত হয়েছেন অন্তত ৪২ হাজার ৫১৯ জন। আর আহত হয়েছেন অন্তত ৯৯ হাজার ৬৩৭ জন।
গত এক বছরের সংঘাতে গাজায় ১৪ হাজার ১০০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। সংস্থাটির মুখপাত্র জেমস এলডার বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজার ১০ লাখ শিশুর জন্য উপত্যকাটি এখন ‘পৃথিবীর বুকে নরকে’ পরিণত হয়েছে।