০৭:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গৌরীপুরে চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে অনন্য ভুমিকা পালন করে ডাঃ মুক্তাদির চক্ষু হাসপাতাল

  • Md Rasel Mia
  • সময়ঃ ০১:৪৪:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪
  • ১১৯ সময়

দিলীপ কুমার দাস নিজস্ব প্রতিবেদক:গৌরীপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বোকইনগরে অবস্থিত ডা. মুক্তাদির চক্ষু হাসপাতাল। এটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অদ্যাবধি পর্যন্ত চক্ষু চিকিৎসায় মানুষের আস্থা অর্জন করে চলেছে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা: এ কে এম এ মুকতাদির নিজস্ব অর্থায়নে উপজেলার বোকইনগর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে একটি সুন্দর মনোরম পরিবেশে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ডা. মুক্তাদির চক্ষু হাসপাতাল।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের চোখের চিকিৎসাসেবা দিতে উপজেলায় নিজ গ্রাম নয়াপাড়ায় সহধর্মিণী মাহমুদা খাতুনের সহযোগিতায় তিনি গড়ে তোলেন ডা: মুকতাদির চক্ষু হাসপাতাল।

দেশের উন্নত প্রযুক্তির হাসপাতালগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের চোখের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে এ হাসপাতালটি। এখন আর চোখের চিকৎসার জন্য এ অঞ্চলের মানুষকে রাজধানীতে যেতে হয় না।

এখন শুধু গৌরীপুর নয় আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার মানুষ আসে এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। স্বল্প খরচে মানুষ এখানে পাচ্ছেন চোখের চিকিৎসা। রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই চক্ষু হাসপাতালে যাতায়াত অনেক সহজ ও স্বল্প খরচে চক্ষু চিকিৎসা পাওয়া যায়।

সরেজমিন দেখা গেছে, এ হাসপাতালটিতে রয়েছে চোখের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি। রয়েছে নিজস্ব জেনারেটর ব্যবস্থা। রোগীর জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত ওয়ার্ড ও বেড। রোগীর সাথের লোকজনের জন্য আছে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা। চারতলা বিশিষ্ট হাসপাতালটির চারপাশে রয়েছে ফুলের বাগান। বিনোদনের জন্য রয়েছে মিনি চিড়িয়াখানা ও হাসপাতালের সামনে স্থাপন করা হয়েছে বিশাল পার্ক। হাসপাতালের পাশে স্থাপন করা হয়েছে মসজিদ ও একটি মাদরাসা। এ হাসপাতালকে ঘিরে গড়ে ওঠেছে ওষুধ, চশমাসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীর দোকান।

সাংবাদিক কন্যা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বর্ষের ছাত্রী প্রিয়া রানী দাস বলেন,আমি দীর্ঘ দিন যাবত চোখের সমস্যায় ভুগছিলাম। বেশিক্ষণ পড়ালেখা করলে চোখ দিয়ে পানি পড়ত এবং তীব্র মাথা ব্যথা করত কিন্তু আমি মুক্তাদির আংকেলকে দিয়ে চোখ দেখানোর পর থেকে সম্পুর্ণ সুস্থ হয়েছি

এ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয় শতাধিক লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া এ হাসপাতালে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে বেকারত্ব ঘুছিয়েছে স্থানীয় অনেক বেকার তরুণ তরুণী। স্বল্প খরচে চোখের চিকিৎসার জন্য প্রতিষ্ঠিত সেবামূলক একটি প্রতিষ্ঠান। চোখের ছানি, গ্লুকোমা, ট্যারা চোখসহ সব ধরণের রোগের চিকিৎসা করা হয় এই হাসপাতালে। হাসপাতালটি না থাকলে চোঁখের চিকিৎসা করতে গিয়ে কত হয়রানির শিকার ও দ্বিগুণ টাকা খরচ করতে হয়েছে। এই হাসপাতালে দূর দূরান্ত থেকে আসা যাওয়া করতে বেগ পোহাতে হয় না। হাসপাতালটি গৌরীপুরবাসীর জন্য গর্বের বলেও জানান তিনি

উল্লেখ্য, ডাঃ মুক্তাদির বাংলাদেসহ বিশ্বের বহুদেশে চক্ষু চিকিৎসায় আলোড়ন সৃষ্টি করায় এবং তার নিজ উপজেলা গৌরীপুরে ফ্রি চক্ষু শিবিরের মাধ্যমে জাহার হাজার অসহায় রোগীদের সেবা দিয়ে সারাদেশ ব্যাপী সুনাম অর্জন করেছেন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে তিনি জীবনে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি,
একুশে পদক সহ বিপুল সংখ্যক পদকে ভূষিত হয়েছেন। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীরমুক্তিযোদ্ধা ও জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান।

About Author Information

Md Rasel Mia

একাকিত্ব জীবন  জাপানে ৬ মাসে মৃত ৪০ হাজার বৃদ্ধ, বিচিত্র সংকটে উদীয়মান সূর্যের দেশ

গৌরীপুরে চোখের আলো ফিরিয়ে দিতে অনন্য ভুমিকা পালন করে ডাঃ মুক্তাদির চক্ষু হাসপাতাল

সময়ঃ ০১:৪৪:১২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

দিলীপ কুমার দাস নিজস্ব প্রতিবেদক:গৌরীপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বোকইনগরে অবস্থিত ডা. মুক্তাদির চক্ষু হাসপাতাল। এটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অদ্যাবধি পর্যন্ত চক্ষু চিকিৎসায় মানুষের আস্থা অর্জন করে চলেছে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা: এ কে এম এ মুকতাদির নিজস্ব অর্থায়নে উপজেলার বোকইনগর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে একটি সুন্দর মনোরম পরিবেশে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ডা. মুক্তাদির চক্ষু হাসপাতাল।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের চোখের চিকিৎসাসেবা দিতে উপজেলায় নিজ গ্রাম নয়াপাড়ায় সহধর্মিণী মাহমুদা খাতুনের সহযোগিতায় তিনি গড়ে তোলেন ডা: মুকতাদির চক্ষু হাসপাতাল।

দেশের উন্নত প্রযুক্তির হাসপাতালগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের চোখের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে এ হাসপাতালটি। এখন আর চোখের চিকৎসার জন্য এ অঞ্চলের মানুষকে রাজধানীতে যেতে হয় না।

এখন শুধু গৌরীপুর নয় আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার মানুষ আসে এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। স্বল্প খরচে মানুষ এখানে পাচ্ছেন চোখের চিকিৎসা। রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই চক্ষু হাসপাতালে যাতায়াত অনেক সহজ ও স্বল্প খরচে চক্ষু চিকিৎসা পাওয়া যায়।

সরেজমিন দেখা গেছে, এ হাসপাতালটিতে রয়েছে চোখের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি। রয়েছে নিজস্ব জেনারেটর ব্যবস্থা। রোগীর জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত ওয়ার্ড ও বেড। রোগীর সাথের লোকজনের জন্য আছে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা। চারতলা বিশিষ্ট হাসপাতালটির চারপাশে রয়েছে ফুলের বাগান। বিনোদনের জন্য রয়েছে মিনি চিড়িয়াখানা ও হাসপাতালের সামনে স্থাপন করা হয়েছে বিশাল পার্ক। হাসপাতালের পাশে স্থাপন করা হয়েছে মসজিদ ও একটি মাদরাসা। এ হাসপাতালকে ঘিরে গড়ে ওঠেছে ওষুধ, চশমাসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীর দোকান।

সাংবাদিক কন্যা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বর্ষের ছাত্রী প্রিয়া রানী দাস বলেন,আমি দীর্ঘ দিন যাবত চোখের সমস্যায় ভুগছিলাম। বেশিক্ষণ পড়ালেখা করলে চোখ দিয়ে পানি পড়ত এবং তীব্র মাথা ব্যথা করত কিন্তু আমি মুক্তাদির আংকেলকে দিয়ে চোখ দেখানোর পর থেকে সম্পুর্ণ সুস্থ হয়েছি

এ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয় শতাধিক লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া এ হাসপাতালে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে বেকারত্ব ঘুছিয়েছে স্থানীয় অনেক বেকার তরুণ তরুণী। স্বল্প খরচে চোখের চিকিৎসার জন্য প্রতিষ্ঠিত সেবামূলক একটি প্রতিষ্ঠান। চোখের ছানি, গ্লুকোমা, ট্যারা চোখসহ সব ধরণের রোগের চিকিৎসা করা হয় এই হাসপাতালে। হাসপাতালটি না থাকলে চোঁখের চিকিৎসা করতে গিয়ে কত হয়রানির শিকার ও দ্বিগুণ টাকা খরচ করতে হয়েছে। এই হাসপাতালে দূর দূরান্ত থেকে আসা যাওয়া করতে বেগ পোহাতে হয় না। হাসপাতালটি গৌরীপুরবাসীর জন্য গর্বের বলেও জানান তিনি

উল্লেখ্য, ডাঃ মুক্তাদির বাংলাদেসহ বিশ্বের বহুদেশে চক্ষু চিকিৎসায় আলোড়ন সৃষ্টি করায় এবং তার নিজ উপজেলা গৌরীপুরে ফ্রি চক্ষু শিবিরের মাধ্যমে জাহার হাজার অসহায় রোগীদের সেবা দিয়ে সারাদেশ ব্যাপী সুনাম অর্জন করেছেন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে তিনি জীবনে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি,
একুশে পদক সহ বিপুল সংখ্যক পদকে ভূষিত হয়েছেন। তিনি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীরমুক্তিযোদ্ধা ও জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান।