০১:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজনে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান ঢাবি শিবির সভাপতির

  • Md Mizanur Rahman
  • সময়ঃ ০৩:০৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
  • ৩১ সময়

দেশের বিভিন্ন স্থানে মব কিলিং, প্রশাসনে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও ফ্যাসিবাদের বিচারসহ জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. আবু সাদিক (কায়েম)।

একইসঙ্গে শুধু জুলাই গণহত্যা নয়, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরে গণহত্যাসহ প্রতিটি জুডিশিয়াল ও এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিংয়ের সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৫ অক্টোবর)  আবু সাদিক তার ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে এ দাবি জানান।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ফ্যাসিবাদের কলকাঠিতে মব লিঞ্চিং হচ্ছে, আবার দেশকে ঠেলে দিচ্ছে কালচার ওয়ারের দিকে। প্রশাসনে এখনো দুর্নীতিবাজ, চটকদার, দালালশ্রেণী গেড়ে বসে আছে৷ ল এন্ড অর্ডার পরিস্থিতি এখনও পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রনে রয়েছে কিনা পর্যালোচনার দাবি রাখে। মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে নানান কিসিমের বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও। সরকারের দায়িত্ব এইসব জায়গায় নজর দেওয়া। জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজনে কঠোর হওয়া।

তিনি বলেন, চব্বিশের ইনকিলাবকে হেফাজতের মহাদায়িত্ব এই সরকারের কাঁধেই। দেশকে যেন শকুনের বদনজর থেকে দূরে রাখা যায় সে দিকে সরকার ও জনতা উভয়ের তীক্ষ্ণ মনোযোগ অতি প্রত্যাশিত।

ফ্যাসিস্ট শক্তিকে প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোথাও কোথাও ফ্যাসিবাদের ভলান্টিয়াররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে দেশকে অস্থিশীল করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক ঊর্ধ্বতন মহলে আবার অনেকেই ফ্যাসিস্টের প্রতি দেখাচ্ছেন সফট কর্নার। যেনবা পতিত স্বৈরাচারীকে পুনর্বাসনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ানো দেশপ্রেমে উন্মত্ত ছাত্র-জনতা তা কিছুতেই হতে দিবে না। যেকোনোভাবেই ফ্যাসিস্ট শক্তিকে প্রতিরোধ করা হবে-এটা শহীদদের প্রতি আমাদের অনিবার্য ওয়াদা।

জুলাই বিপ্লবে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে এখনো যারা হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে তাদের চিকিৎসার তড়িৎ ও যথাযথ ব্যাবস্থা নিতে হবে। আর কোনো সহযোদ্ধাকে আমরা হারাতে চাই না। যারা গণহত্যায় জড়িত ছিলো, তাদের বেশিরভাগই খোলা হাওয়ায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অথচ শহীদ ভাইদের কবরে যাওয়ার মিছিল শুধু দীর্ঘতর হচ্ছে।

About Author Information

Md Mizanur Rahman

জনপ্রিয় নিউজ

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ইউএনও ২২ কি.মি সড়কে রোপন করলেন তালবীজ

জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজনে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান ঢাবি শিবির সভাপতির

সময়ঃ ০৩:০৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

দেশের বিভিন্ন স্থানে মব কিলিং, প্রশাসনে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও ফ্যাসিবাদের বিচারসহ জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মো. আবু সাদিক (কায়েম)।

একইসঙ্গে শুধু জুলাই গণহত্যা নয়, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরে গণহত্যাসহ প্রতিটি জুডিশিয়াল ও এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিংয়ের সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৫ অক্টোবর)  আবু সাদিক তার ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে এ দাবি জানান।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ফ্যাসিবাদের কলকাঠিতে মব লিঞ্চিং হচ্ছে, আবার দেশকে ঠেলে দিচ্ছে কালচার ওয়ারের দিকে। প্রশাসনে এখনো দুর্নীতিবাজ, চটকদার, দালালশ্রেণী গেড়ে বসে আছে৷ ল এন্ড অর্ডার পরিস্থিতি এখনও পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রনে রয়েছে কিনা পর্যালোচনার দাবি রাখে। মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে নানান কিসিমের বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও। সরকারের দায়িত্ব এইসব জায়গায় নজর দেওয়া। জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজনে কঠোর হওয়া।

তিনি বলেন, চব্বিশের ইনকিলাবকে হেফাজতের মহাদায়িত্ব এই সরকারের কাঁধেই। দেশকে যেন শকুনের বদনজর থেকে দূরে রাখা যায় সে দিকে সরকার ও জনতা উভয়ের তীক্ষ্ণ মনোযোগ অতি প্রত্যাশিত।

ফ্যাসিস্ট শক্তিকে প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোথাও কোথাও ফ্যাসিবাদের ভলান্টিয়াররা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে দেশকে অস্থিশীল করে যাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক ঊর্ধ্বতন মহলে আবার অনেকেই ফ্যাসিস্টের প্রতি দেখাচ্ছেন সফট কর্নার। যেনবা পতিত স্বৈরাচারীকে পুনর্বাসনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ানো দেশপ্রেমে উন্মত্ত ছাত্র-জনতা তা কিছুতেই হতে দিবে না। যেকোনোভাবেই ফ্যাসিস্ট শক্তিকে প্রতিরোধ করা হবে-এটা শহীদদের প্রতি আমাদের অনিবার্য ওয়াদা।

জুলাই বিপ্লবে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে এখনো যারা হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে তাদের চিকিৎসার তড়িৎ ও যথাযথ ব্যাবস্থা নিতে হবে। আর কোনো সহযোদ্ধাকে আমরা হারাতে চাই না। যারা গণহত্যায় জড়িত ছিলো, তাদের বেশিরভাগই খোলা হাওয়ায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অথচ শহীদ ভাইদের কবরে যাওয়ার মিছিল শুধু দীর্ঘতর হচ্ছে।