০৭:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা সিরিজ

টাইগারদের হারিয়ে সিরিজে সমতা আনলো লংকনরা

  • Md Rasel Mia
  • সময়ঃ ০৪:৫২:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
  • ১৯৪ সময়

স্টাফ রিপোর্টার : তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে পাথুম নিসাঙ্কা ও চারিথ আসালাঙ্কার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে টাইগারদের ৩ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। শুক্রবার (১৫ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেয়া ২৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। ব্যাট হাতে নিসাঙ্কা ১১৪ ও আসালাঙ্কা করেন ৯১ রান। তিন ম্যাচের সিরিজ এখন ১-১ সমতায়।

জয়ের জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্যের রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই শরিফুলের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লঙ্কান ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো। ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম ওভারেই কুশল মেন্ডিসকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। ব্যক্তিগত ১৬ রানে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মেন্ডিস। সপ্তম ওভারে বল করতে এসে আবারও লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন পেসার শরিফুল। এবার তার শিকার সাদিরা সামারাবিক্রমা। মেহেদী হাসান মিরাজের তালুবন্দি হন তিনি। ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে সফরকারীরা। এরপর ১৮৫ রানের জুটি গড়েন পাথুম নিসাঙ্কা ও চারিথ আসালাঙ্কা। সেঞ্চুরী তুলে নেন নিসাঙ্কা। ১১৪ রান করে মিরাজের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। তার ইনিংসটি ছিল ১৩টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো। নিসাঙ্কার বিদায়ের পরের ওভারেই আউট হন চারিথ আসালাঙ্কা। ৯৩ বলে ৯১ রানের দারুন এক ইনিংস খেলে তাসকিনের বলে মুশফিকের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়েন আসালাঙ্কা। শেষের দিকে দুনিথ ওয়াল্লাগের ১৫ ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান।

বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ নেন ২টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট পান তানজিম হাসাব সাকিব, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। এ ম্যাচে বাংলাদেশের অষ্টম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে একশ উইকেটের মালিক হন তাসকিন।

এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশের ইনিংসে। ওপেনার লিটন দাস টানা দুই ম্যাচে ব্যাক টু ব্যাক গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ৭৫ ও ব্যক্তিগত ৪০ রানে মাদুশঙ্কার দ্বিতীয় উইকেটের শিকার হন টাইগার অধিনায়ক।

সৌম্য সরকার খেলেন ৬৬ বলে ৬৮ রানের দারুন এক ইনিংস। ম্যাচের ২২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে হাসারাঙ্গার বলে দিলশান মাদুশঙ্কার তালুবন্দি হন সৌম্য। একই ওভারের চতুর্থ বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে শুন্য রানে ফেরেন মাহমুদউল্লাদ। হাসারাঙ্গার তান্ডব চলতেই থাকে। একাই তুলে নেন মুশফিক ও মেহেদী হাসান মিরাজকে। ব্যক্তিগত ২৫ রানে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন মুশফিক এবং ১২ রান করে বোল্ড হন মিরাজ। একপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন তাওহিদ হৃদয়।

প্রমোদ মাদুশানের বলে হাসারাঙ্গার হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তানজিম হাসান সাকিব। ক্রিজে আসেন তাসকিন আহমেদ। তাসকিন-হৃদয়ের ২৩ বলে ৫০ রানের অপরাজিত জুটির সুবাদে ২৮৬ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা। ব্যাট হাতে ১০২ বলে ৯৬ রানের দারুন এক ইনিংস খেলেন তাওহিদ হৃদয়। তাসকিন আহমেদ অপরাজিত থাকেন ১৮ রানে। লঙ্কানদের পক্ষে হাসারাঙ্গা ৪৫ রানের বিনিময়ে একাই তুলে নেন ৪ উইকেট। ২টি উইকেট পান দিলশান মাদুশঙ্কা এবং ১টি উইকেট তুলে নেন প্রমোদ মাদুশান।

উল্লেখ্য, একই মাঠে সোমবার (১৮ মার্চ) সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই দল।

Tag :
About Author Information

Md Rasel Mia

জনপ্রিয় নিউজ

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ইউএনও ২২ কি.মি সড়কে রোপন করলেন তালবীজ

বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা সিরিজ

টাইগারদের হারিয়ে সিরিজে সমতা আনলো লংকনরা

সময়ঃ ০৪:৫২:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয়টিতে পাথুম নিসাঙ্কা ও চারিথ আসালাঙ্কার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে টাইগারদের ৩ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। শুক্রবার (১৫ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেয়া ২৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। ব্যাট হাতে নিসাঙ্কা ১১৪ ও আসালাঙ্কা করেন ৯১ রান। তিন ম্যাচের সিরিজ এখন ১-১ সমতায়।

জয়ের জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্যের রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই শরিফুলের বলে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লঙ্কান ওপেনার আভিস্কা ফার্নান্দো। ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম ওভারেই কুশল মেন্ডিসকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। ব্যক্তিগত ১৬ রানে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মেন্ডিস। সপ্তম ওভারে বল করতে এসে আবারও লঙ্কান শিবিরে আঘাত হানেন পেসার শরিফুল। এবার তার শিকার সাদিরা সামারাবিক্রমা। মেহেদী হাসান মিরাজের তালুবন্দি হন তিনি। ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে সফরকারীরা। এরপর ১৮৫ রানের জুটি গড়েন পাথুম নিসাঙ্কা ও চারিথ আসালাঙ্কা। সেঞ্চুরী তুলে নেন নিসাঙ্কা। ১১৪ রান করে মিরাজের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। তার ইনিংসটি ছিল ১৩টি চার ও ৩টি ছয়ে সাজানো। নিসাঙ্কার বিদায়ের পরের ওভারেই আউট হন চারিথ আসালাঙ্কা। ৯৩ বলে ৯১ রানের দারুন এক ইনিংস খেলে তাসকিনের বলে মুশফিকের তালুবন্দি হয়ে মাঠ ছাড়েন আসালাঙ্কা। শেষের দিকে দুনিথ ওয়াল্লাগের ১৫ ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান।

বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ নেন ২টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট পান তানজিম হাসাব সাকিব, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম। এ ম্যাচে বাংলাদেশের অষ্টম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে একশ উইকেটের মালিক হন তাসকিন।

এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ছন্দপতন ঘটে বাংলাদেশের ইনিংসে। ওপেনার লিটন দাস টানা দুই ম্যাচে ব্যাক টু ব্যাক গোল্ডেন ডাক মেরে সাজঘরে ফেরেন। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দলীয় ৭৫ ও ব্যক্তিগত ৪০ রানে মাদুশঙ্কার দ্বিতীয় উইকেটের শিকার হন টাইগার অধিনায়ক।

সৌম্য সরকার খেলেন ৬৬ বলে ৬৮ রানের দারুন এক ইনিংস। ম্যাচের ২২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে হাসারাঙ্গার বলে দিলশান মাদুশঙ্কার তালুবন্দি হন সৌম্য। একই ওভারের চতুর্থ বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হয়ে শুন্য রানে ফেরেন মাহমুদউল্লাদ। হাসারাঙ্গার তান্ডব চলতেই থাকে। একাই তুলে নেন মুশফিক ও মেহেদী হাসান মিরাজকে। ব্যক্তিগত ২৫ রানে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে পড়েন মুশফিক এবং ১২ রান করে বোল্ড হন মিরাজ। একপ্রান্তে লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন তাওহিদ হৃদয়।

প্রমোদ মাদুশানের বলে হাসারাঙ্গার হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তানজিম হাসান সাকিব। ক্রিজে আসেন তাসকিন আহমেদ। তাসকিন-হৃদয়ের ২৩ বলে ৫০ রানের অপরাজিত জুটির সুবাদে ২৮৬ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা। ব্যাট হাতে ১০২ বলে ৯৬ রানের দারুন এক ইনিংস খেলেন তাওহিদ হৃদয়। তাসকিন আহমেদ অপরাজিত থাকেন ১৮ রানে। লঙ্কানদের পক্ষে হাসারাঙ্গা ৪৫ রানের বিনিময়ে একাই তুলে নেন ৪ উইকেট। ২টি উইকেট পান দিলশান মাদুশঙ্কা এবং ১টি উইকেট তুলে নেন প্রমোদ মাদুশান।

উল্লেখ্য, একই মাঠে সোমবার (১৮ মার্চ) সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই দল।