০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ট্রান্সকম গ্রুপের লতিফুরের মৃত্যুর পর সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব

ট্রান্সকম গ্রুপের বড় বোনের  বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন ছোট বোন

  • Md Rasel Mia
  • সময়ঃ ০৯:৪১:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪
  • ৮৩ সময়

স্টাফ রিপোর্টার :ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে হত্যার অভিযোগে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান ও তার ছেলে  যারাইফ আয়াত হোসেনসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তারই আপন ছোট বোন শাযরেহ হক।

হিজরাদের মধ্যে কেউ চাঁদাবাজি করলে তাকেও গ্রেফতার করা হবে:ডিএমপি কমিশনার 

শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলা করেন শাযরেহ হক।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার  বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘শুক্রবার রাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’এই হত্যা মামলায় সিমিন রহমান ছাড়া অন্যান্য আসামিরা হলেন: সিমিন রহমানের ছেলে ও ট্রান্সকম লিমিটেডের হেড অভ ট্রান্সফরেশন যারাইফ আয়াত হোসেন, কর্পোরেট অ্যাফেয়ারসের (আইন) নির্বাহী পরিচালক মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, কর্পোরেট ফাইনান্সের পরিচালক মো. কামরুল হাসান, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ম্যানেজার  সেলিনা সুলতানা, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ম্যানেজার কেএইচ মো. শাহাদত হোসেন, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের ম্যানেজার (মেডিক্যাল অ্যাফেয়ার্স) ডা. মুরাদ, মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস বিভাগের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জাহিদ হোসেন,  জনাব রফিক ও মিরাজুল।এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি কোম্পানির শেয়ার ও সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে– ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যানের মেয়ে শাযরেহ হক তার বড় বোন, ট্রান্সকম গ্রুপের বর্তমান সিইও সিমিন রহমান এবং গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান, তাদের মা শাহনাজ রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সিমিনের দায়ের করা তিন মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।মামলার নথিতে বলা হয়েছে, সিমিন ও তার সহযোগীরা জাল দলিল ব্যবহার করে তার বাবা লতিফুর রহমানের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ অবৈধভাবে আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন।এই বিষয়  ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, ট্রান্সকম গ্রুপের বিষয়ে আমরা শুনেছি। আগেও একটা মামলা হয়েছে। গত রাতে আরেকটি মামলা হয়। মামলাটি এখনো থানায়। ডিবির কাছে আসলে আমরা ছায়াতদন্ত শুরু করব।নথিতে আরও বলা হয়, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান মৃত্যুর সময় একাধিক ব্যাংকে এফডিআর হিসাবে ১০০ কোটি টাকার উপরে  রেখে গিয়েছিলেন।বাদী তার মা ও বোন সিমিনের বিরুদ্ধে অসমভাবে এফডিআর বণ্টনের অভিযোগ করেছেন। বাকিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করার অভিযোগ করা হয়েছে।মামলার নথিতে আরও বলা হয়েছে, বাদীকে জানানো হয়েছিল তাঁর পিতা তাঁকে ৪ হাজার ২৭০টি শেয়ার, তার ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে ৪ হাজার ২৭০টি শেয়ার এবং তার বোনকে ১৪ হাজার ১৬০টি শেয়ার হস্তান্তর করেছেন।কিন্তু বাদী কখনোই হস্তান্তর দলিলে স্বাক্ষর করেননি বলে দাবি করেছেন। তার বাবাও জীবিতাবস্থায় কখনও হস্তান্তর দলিলে স্বাক্ষর করেননি বলে দাবি করেছেন বাদী।
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছে ইউরোপের ৪ দেশ
বাদী শাযরেহ হক অভিযোগ করেন, আসামিরা এসব নথি জাল করেছেন।উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ জুন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আরশাদ ওয়ালিউর রহমান মারা যান। তিনি ট্রান্সকম গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। আরশাদ ওয়ালিউর ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের বড় ছেলে। তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।
শাযরেহ হক মামলার অভিযোগে বলেছেন, তাদের বড় বোন সিমিন রহমানসহ অন্য অভিযুক্তরা তার বড় ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে বিষ প্রয়োগ ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন।

Tag :
About Author Information

Md Rasel Mia

জনপ্রিয় নিউজ

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ইউএনও ২২ কি.মি সড়কে রোপন করলেন তালবীজ

ট্রান্সকম গ্রুপের লতিফুরের মৃত্যুর পর সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব

ট্রান্সকম গ্রুপের বড় বোনের  বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন ছোট বোন

সময়ঃ ০৯:৪১:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মার্চ ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার :ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে হত্যার অভিযোগে ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমান ও তার ছেলে  যারাইফ আয়াত হোসেনসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তারই আপন ছোট বোন শাযরেহ হক।

হিজরাদের মধ্যে কেউ চাঁদাবাজি করলে তাকেও গ্রেফতার করা হবে:ডিএমপি কমিশনার 

শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজধানীর গুলশান থানায় এ মামলা করেন শাযরেহ হক।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার  বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘শুক্রবার রাতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’এই হত্যা মামলায় সিমিন রহমান ছাড়া অন্যান্য আসামিরা হলেন: সিমিন রহমানের ছেলে ও ট্রান্সকম লিমিটেডের হেড অভ ট্রান্সফরেশন যারাইফ আয়াত হোসেন, কর্পোরেট অ্যাফেয়ারসের (আইন) নির্বাহী পরিচালক মো. ফখরুজ্জামান ভূঁইয়া, কর্পোরেট ফাইনান্সের পরিচালক মো. কামরুল হাসান, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ম্যানেজার  সেলিনা সুলতানা, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের ম্যানেজার কেএইচ মো. শাহাদত হোসেন, এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালসের ম্যানেজার (মেডিক্যাল অ্যাফেয়ার্স) ডা. মুরাদ, মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস বিভাগের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডা. মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মো. জাহিদ হোসেন,  জনাব রফিক ও মিরাজুল।এর আগে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি কোম্পানির শেয়ার ও সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে– ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যানের মেয়ে শাযরেহ হক তার বড় বোন, ট্রান্সকম গ্রুপের বর্তমান সিইও সিমিন রহমান এবং গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান, তাদের মা শাহনাজ রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এর আগে গত ২২ ফেব্রুয়ারি সিমিনের দায়ের করা তিন মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।মামলার নথিতে বলা হয়েছে, সিমিন ও তার সহযোগীরা জাল দলিল ব্যবহার করে তার বাবা লতিফুর রহমানের প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের সম্পদ অবৈধভাবে আত্মসাতের চেষ্টা করেছেন।এই বিষয়  ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, ট্রান্সকম গ্রুপের বিষয়ে আমরা শুনেছি। আগেও একটা মামলা হয়েছে। গত রাতে আরেকটি মামলা হয়। মামলাটি এখনো থানায়। ডিবির কাছে আসলে আমরা ছায়াতদন্ত শুরু করব।নথিতে আরও বলা হয়, ট্রান্সকম গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান মৃত্যুর সময় একাধিক ব্যাংকে এফডিআর হিসাবে ১০০ কোটি টাকার উপরে  রেখে গিয়েছিলেন।বাদী তার মা ও বোন সিমিনের বিরুদ্ধে অসমভাবে এফডিআর বণ্টনের অভিযোগ করেছেন। বাকিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতে সহায়তা করার অভিযোগ করা হয়েছে।মামলার নথিতে আরও বলা হয়েছে, বাদীকে জানানো হয়েছিল তাঁর পিতা তাঁকে ৪ হাজার ২৭০টি শেয়ার, তার ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে ৪ হাজার ২৭০টি শেয়ার এবং তার বোনকে ১৪ হাজার ১৬০টি শেয়ার হস্তান্তর করেছেন।কিন্তু বাদী কখনোই হস্তান্তর দলিলে স্বাক্ষর করেননি বলে দাবি করেছেন। তার বাবাও জীবিতাবস্থায় কখনও হস্তান্তর দলিলে স্বাক্ষর করেননি বলে দাবি করেছেন বাদী।
ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে সম্মত হয়েছে ইউরোপের ৪ দেশ
বাদী শাযরেহ হক অভিযোগ করেন, আসামিরা এসব নথি জাল করেছেন।উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ জুন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে আরশাদ ওয়ালিউর রহমান মারা যান। তিনি ট্রান্সকম গ্রুপের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ছিলেন। আরশাদ ওয়ালিউর ট্রান্সকম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের বড় ছেলে। তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।
শাযরেহ হক মামলার অভিযোগে বলেছেন, তাদের বড় বোন সিমিন রহমানসহ অন্য অভিযুক্তরা তার বড় ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে বিষ প্রয়োগ ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন।