জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ‘উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার।মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বুধবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। কমিটিতে অন্তর্বর্তী সরকারের তিনজন উপদেষ্টাকে রাখা হয়েছে।
আইন উপদেষ্টাকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টাকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। কমিটি আগামী ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।
একটি জাতীয় দৈনিকে ডিসি নিয়োগে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ করে সম্প্রতি সংবাদ প্রকাশিত হয়। তাতে জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে তারই অধীনস্থ এক যুগ্মসচিবের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার স্ক্রিনশটের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছিলেন, জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগে ঘুষের অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করার পরিকল্পনা করছে সরকার।
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা জনপ্রশাসন সচিব সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিবিড়ভাবে খতিয়ে দেখছি। এ সমস্যা সমাধানে আমরা সিনিয়র সাংবাদিকদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের পরিকল্পনা করছি। কমিটি প্রতিবেদনটির সত্যতা এবং সংবাদপত্রের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার জন্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করবে।’
তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সঠিক না বলে দাবি করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমার মোবাইলটা স্যামসাং, তারা যেটা শো করেছেন, সেটা হলো আইফোন। আইফোন কি আমি ব্যবহার করি? আমি ব্যবহার করি স্যামসাং। কে কী দেখাল, তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবেন। হোয়াট ওয়াজ দ্য ডায়লগ, আমি এটার কিছুই জানি না। আমি এটার সম্পর্কে…ইফ আই সে লেস, ইট ইজ বেটার।’
তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের আরও বলেন, ‘আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ। সরকার যে টেলিফোন (মোবাইল ফোন) দিয়েছে, সেটাও আমি ব্যবহার করি না। আপনারা যারা জানেন, আমার আগের যে নম্বর সেটাই আমি ব্যবহার করছি সরকারিভাবে।’
এই নিউজের সত্যতা আছে কি না, আপনি পদত্যাগ করবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জ্যেষ্ঠ এই সচিব বলেন, ‘আপনারা যদি নিউজ করতে চান, স্টান্টবাজি নিউজ করতে চান, তাহলে এ প্রশ্ন করতে পারেন। এতদিন আমার সঙ্গে কাজ করেছেন, বিন্দু-বিসর্গ যেখানে সত্যতা নেই, এই প্রশ্ন করার আগে আপনারা নিজেকে প্রশ্ন করেন, কতটুকু যৌক্তিক হচ্ছে আমাকে এই প্রশ্ন করা।’