জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠক নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে হোয়াইট হাউস। এতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের নতুন সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে মার্কিন সমর্থন অব্যাহত থাকবে।’
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। পরে বৈঠকের বিষয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি (রিড আউট) প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস।
ড. ইউনূস সরকারের পাশে থাকবে সেনাবাহিনী , ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন করতে সরকারকে সহায়তা করব:সেনাপ্রধান
বৈঠকে ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের আমলে সব ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সাহসী ভূমিকা ও বাংলাদেশ পুনর্গঠনে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে জানান ড. ইউনূস। এ সময় ড. ইউনূস জোর দিয়ে বলেন, দেশ পুনর্গঠনে তাঁর সরকারকে অবশ্যই সফল হতে হবে। তখন প্রেসিডেন্ট বাইডেন যে কোনো সাহায্যে বাংলাদেশ সরকারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি দেশের জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করতে পারে, তাহলে তাদেরও (যুক্তরাষ্ট্র সরকার) পূর্ণ সহযোগিতা করা উচিত। বৈঠকে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জুলাই বিপ্লব চলাকালীন ও এর পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আঁকা দেয়ালচিত্রের ছবিসংবলিত ‘দ্য আর্ট অব ট্রায়াম্ফ’ শীর্ষক আর্টবুক প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে উপহার দেন।
পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে ড. ইউনূসের এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠক বাংলাদেশের জন্য বিরল সুযোগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নেওয়ার বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছেন কূটনীতিকরা। বৈঠক প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে এ ধরনের বৈঠক বিরল ঘটনা। বৈঠকটি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সস্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে। এটা আমাদের জন্য সুখবর।’ বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, গণতান্ত্রিক পথে উত্তরণ এবং অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কার পদক্ষেপসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থান পায় উল্লেখ করে সেটি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে জানান তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশ যে মুহূর্তে গণতন্ত্র উত্তরণের পথে রয়েছে তখন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে এবং গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ নতুন বাংলাদেশ গঠনে তারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনের কূটনীতিক ও প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে