ডেস্ক রিপোর্ট : কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির নেফ্রোলজিস্ট ডা. মেধাবী গৌতম এর পরামর্শ।
অনেক ক্ষেত্রেই সময়ের অভাবে বা কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে বা কোথাও টয়লেট পরিষ্কার না থাকার কারণে অনেকেই দীর্ঘসময় ধরে প্রস্রাব আটকে রাখেন। কেউ যদি দীর্ঘদিন ধরে এমন কাজ করেন, তাহলে কি কিডনির কোনও সমস্যা হতে পারে? এর উত্তরে প্রথমেই বলতে হবে যে, আজ থেকেই এই কাজ বন্ধ করা উচিত। কারণ এটি শুধুমাত্র কিডনিরই নয়, শরীরের অন্যান্য অংশেরও বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
কিং জর্জ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির নেফ্রোলজিস্ট ডা. মেধাবী গৌতম আমাদের আলোচনাকালে জানিয়েছেন যে, ওপিডিতে প্রায়ই তাঁকে রোগীরা এই প্রশ্ন করেন, দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব বন্ধ করলে কী কী ক্ষতি হতে পারে? তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্রাব বন্ধ রাখলে রোগীর শরীরে কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় তা জানা খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, প্রথমত এই অভ্যাসে কিডনিসহ শরীরে বিভিন্ন সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বারবার ইউটিআই সংক্রমণ কিডনির ওপরও খারাপ প্রভাব ফেলে। এছাড়াও তলপেটে ব্যথা এবং পিত্তথলির পেশিতে টান পড়ে। শরীরের অনেক অংশে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে রোগীরা মারাত্মক রোগের শিকার হতে পারেন। তিনি বলেন, সঠিক সময়ে প্রস্রাব করলে শরীরের নানন প্রক্রিয়া সুচারু ভাবে সম্পন্ন হয়। কিন্তু দীর্ঘসময় প্রস্রাব বন্ধ করে রাখলে যে প্রক্রিয়াটি ঘটে তা শরীরের সমস্ত নিয়মকে বিপরীত দিকে চালিত করে। এতে সরাসরি কিডনির ওপর চাপ পড়ে।
ডা. মেধবী গৌতম আরও জানিয়েছেন যে, কিডনি সুস্থ রাখতে যতটা সম্ভব বেশি পরিমাণে জল পান করা উচিত। সঠিক সময়ে প্রস্রাব করা এবং দীর্ঘসময় ধরে প্রস্রাব চেপে থাকা উচিত না। নিয়মিত যোগব্যায়াম দরকার এবং আমাদের খাদ্যতালিকায় সুষম ফল ও সবজির পরিমাণ বাড়াতে হবে। কোনও প্রকার নেশাই আমাদের শরীরের জন্য ভাল নয়। নিয়মিত বেশি মসলা ও ঝাল দিয়ে খাবার না খাওয়াই ভাল।
কিডনিতে সমস্যার লক্ষণ
পা ফুলে যাওয়া, ক্ষুধার উপর প্রভাব, শ্বাসকষ্ট হওয়া, শরীরে চুলকানি হওয়া, প্রস্রাব হ্রাস পাওয়া, প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত, সকালে বমি বমি ভাব, চোখের কাছাকাছি ফোলা ভাব ইত্যাদি কিডনির খারাপের লক্ষণ।সূত্র নিউজ ১৮ বাংলা