১০:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের রাজনীতি তে ইমরান ও নওয়াজের ভুমিকা

  • Md Rasel Mia
  • সময়ঃ ০৫:০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৭২ সময়

পাকিস্তানের রাজনীতি এখন এক এমন অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে যা আগে কখনও দেখা যায়নি। ওই দেশের মানুষের মধ্যে রাজনীতি নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা যেমন আছে, তেমনই তারা আশার আলোর কথাও বলছেন।

২৪ কোটি জনসংখ্যার দেশ পাকিস্তানে এই নিয়ে একটানা তৃতীয়বার সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে। সামরিক শাসন ও স্বৈর শাসনের ইতিহাসের নিরিখে দেখতে গেলে এটা সে দেশের জন্য একটা বড় বিষয়।

যদিও পাকিস্তানে আগামী আটই ফেব্রুয়ারির আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সামরিক হস্তক্ষেপে।

সে দেশে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও নির্বাচন হয়নি, যা বিতর্ক এড়িয়ে যেতে পেরেছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে পাকিস্তানের এক সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাগারে আর আর একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছেন স্বেচ্ছা নির্বাসন শেষে।

পাকিস্তানে এই রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এই পরিস্থিতিতে সে দেশের ভবিষ্যতের জন্য এই নির্বাচন কেন গুরুত্বপূর্ণ, তা জেনে নেওয়া যাক।

ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সীমান্ত ইরান এবং তালেবান-নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানের লাগোয়া। আমেরিকার আর পাকিস্তানের সম্পর্ক ‘লাভ অ্যান্ড হেট’-এর। পাশাপাশি চীনেরও ঘনিষ্ঠ পাকিস্তান।

ক্ষমতায় আসাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে গত বছর থেকেই। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সরিয়ে ২০২২ সালে ক্ষমতায় আসে জোটের সরকার।

এরপর গত বছর অনির্বাচিত ‘কেয়ারটেকার সরকার’ বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে। তাদের তত্ত্বাবধানে গত নভেম্বরের মধ্যে দেশে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যেতে থাকে।

পাকিস্তানের অনেকেই মনে করেন, এই মুহূর্তে সে দেশে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন একটা স্থিতিশীল সরকার, যাতে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিষয়ে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।

তবে নির্বাচনী দৌড়ে থাকা নেতাদের পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে, সেই স্থিতিশীলতা কিন্তু এখনও বেশ দূরে।সূত্র বিবিসি

About Author Information

Md Rasel Mia

জনপ্রিয় নিউজ

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ইউএনও ২২ কি.মি সড়কে রোপন করলেন তালবীজ

পাকিস্তানের রাজনীতি তে ইমরান ও নওয়াজের ভুমিকা

সময়ঃ ০৫:০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পাকিস্তানের রাজনীতি এখন এক এমন অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে যা আগে কখনও দেখা যায়নি। ওই দেশের মানুষের মধ্যে রাজনীতি নিয়ে ক্ষোভ ও হতাশা যেমন আছে, তেমনই তারা আশার আলোর কথাও বলছেন।

২৪ কোটি জনসংখ্যার দেশ পাকিস্তানে এই নিয়ে একটানা তৃতীয়বার সাধারণ নির্বাচন হচ্ছে। সামরিক শাসন ও স্বৈর শাসনের ইতিহাসের নিরিখে দেখতে গেলে এটা সে দেশের জন্য একটা বড় বিষয়।

যদিও পাকিস্তানে আগামী আটই ফেব্রুয়ারির আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সামরিক হস্তক্ষেপে।

সে দেশে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও নির্বাচন হয়নি, যা বিতর্ক এড়িয়ে যেতে পেরেছে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে পাকিস্তানের এক সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাগারে আর আর একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরেছেন স্বেচ্ছা নির্বাসন শেষে।

পাকিস্তানে এই রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। এই পরিস্থিতিতে সে দেশের ভবিষ্যতের জন্য এই নির্বাচন কেন গুরুত্বপূর্ণ, তা জেনে নেওয়া যাক।

ভারতের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের সীমান্ত ইরান এবং তালেবান-নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানের লাগোয়া। আমেরিকার আর পাকিস্তানের সম্পর্ক ‘লাভ অ্যান্ড হেট’-এর। পাশাপাশি চীনেরও ঘনিষ্ঠ পাকিস্তান।

ক্ষমতায় আসাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে গত বছর থেকেই। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে সরিয়ে ২০২২ সালে ক্ষমতায় আসে জোটের সরকার।

এরপর গত বছর অনির্বাচিত ‘কেয়ারটেকার সরকার’ বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় আসে। তাদের তত্ত্বাবধানে গত নভেম্বরের মধ্যে দেশে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যেতে থাকে।

পাকিস্তানের অনেকেই মনে করেন, এই মুহূর্তে সে দেশে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন একটা স্থিতিশীল সরকার, যাতে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিষয়ে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়।

তবে নির্বাচনী দৌড়ে থাকা নেতাদের পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে, সেই স্থিতিশীলতা কিন্তু এখনও বেশ দূরে।সূত্র বিবিসি