বিরুদ্ধে দেয়া ক্ষমতায় আসতে আজীবন নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা হয়েছে। সরিয়ে ফেলা হয়েছে তার সব অপরাধের রেকর্ডও। সবমিলিয়ে সেনাবাহিনীর সমর্থনে তিনি আবারও নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন।
- বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পি)। অক্সফোর্ডে পড়াশোনা করা ৩৫ বছর বয়সী এই রাজনীতিক মূলত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো এবং প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির ছেলে।
বেনজির ভুট্টো ২০০৭ সালে বাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে ৫৪ বছর বয়সে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন।
২০২২ সালে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন বিলওয়াল ভুট্টো জারদারি।
- যে রাজনীতিবিদ এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আলোচনার জন্ম দিয়েছেন, তিনি এমন একজন প্রার্থী যিনি আসলে ব্যালটেই নেই।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গত বছর থেকে কারাগারে থাকলেও ভোটের মাঠে এখনও তার ব্যাপক জনসমর্থন রয়েছে।
গত সপ্তাহে তাকে আবার কারাদণ্ড দেয়া হয় এবং তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সদস্যরা এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
দমন-পীড়ন সত্ত্বেও এগিয়ে ইমরান খানের দল?
ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নতুন চেয়ারম্যান গহর আলী খান পরের অবস্থানে থাকা প্রতিযোগীর তিনগুণ বেশি ভোট পেয়ে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বুনার আসন থেকে জয় লাভ করেছেন।
মি. খান গত ডিসেম্বরে মাঝে দলটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জেল থেকেই তাকে মনোনীত করেন।
দলটির আরেক জেষ্ঠ্য নেতা আসাদ কায়সার, যিনি সংসদের সাবেক স্পিকার ছিলেন তিনিও খাইবার পাখতুনখোয়া’র সোয়াবি আসন থেকে জয়যুক্ত হয়েছেন।
পিটিআই চেয়ারম্যান মি. খান এবং মি. কায়সারের মতো আরও অনেক পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে জিতেছেন।
বিবিসি উর্দু থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ আসনে জয় পেয়েছেন পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্ররাই।
পিটিআই প্রার্থীরা ‘ক্রিকেট ব্যাট’ প্রতীকের অধীনে নির্বাচন করতে পারবে না, নির্বাচন কমিশন এরকম একটা আইন জারি করায় এই প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধ্য হয়েছিলো।
বিশ্লেষকদের ধারণা, নির্বাচন যেমনই হোক, সেনাবাহিনীর সুনজর থাকায় শেষ পর্যন্ত সরকার গঠন করবে নওয়াজ শরীফের দল পিএমএল। যদিও এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফল ভিন্ন কথা বলছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ইমরানের খানের দল এখনও পিএমএল থেকে দশ আসন এগিয়ে।
এদিকে পাকিস্তানের সম্প্রচার মাধ্যম জিও নিউজ এই নির্বাচনকে ‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আধিপত্য’ বলে বর্ণনা করেছে।