স্টাফ রিপোর্টার: ১৫ বছর কেটে গেলো এখনো শেষ হয়নি পিলখানা হত্যার বিচার। তবে আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন দ্রুত বিচার শেষ করা হবে।
পিলখানায় বর্বরোচিত হত্যার তদন্ত শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, পিলখানায় বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শেষ। শিগগিরই চূড়ান্ত বিচার শেষ হবে। যা কিছুই হোক দ্রুত বিচার কাজ শেষ করার চেষ্টা করছি।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বিচারবিভাগ স্বাধীন, তাই তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে। বিচারে কারও গাফিলতি নেই, সঠিকভাবে তদন্ত শেষ করতেই এই দীর্ঘসূত্রিতা।
নিহতদের অনেক স্বজন বৃদ্ধ হয়েছে, তারা আদৌ বিচার দেখে যেতে পারবে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমিও সেটি বলি, যাই হোক দ্রুতই হোক। তবে কবে শেষ হবে সেটা বিচারকরাই জানেন। আদালত যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটিই ফাইনাল সিদ্ধান্ত। আপনারা জানেন আমাদের আদালত স্বাধীন। আদালত একটি ন্যায্য বিচার করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে কারো গাফিলতি নেই। আমি আগেই বলেছি এখানে বিরাট ধরণের হত্যাকাণ্ড ছিল। সবগুলো সঠিকভাবে তদন্ত শেষে বড় ধরণের বিচার কার্য ছিল। এই সবগুলোই সময় লেগেছে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি দুদিনে তৎকালীন বিডিআর বর্তমানে বিজিবি সদর দফতর পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে। ওই ঘটনায় মোট ৫৮টি মামলা হয়, এর মধ্যে একটি হত্যা ও লুটপাটের অভিযোগে আর বাকিগুলো বিদ্রোহের অভিযোগে।
এই হত্যা মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া দেশের সবচেয়ে বড় হত্যাকাণ্ডের এ মামলায় ২৭৭ জন আসামি খালাস পেয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৬২ জন বিদ্রোহীকে তিন মাস থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে এবং প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু ও স্থানীয় তোরাব আলীসহ ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে বিদ্রোহের ৫৭টি মামলায় ৫ হাজার ৯২৬ জন বিডিআর জওয়ানকে চার মাস থেকে সাত বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।