০৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দুর্নীতিসহায়ক অসাংবিধানিক : সিপিডি

  • Md Rasel Mia
  • সময়ঃ ১১:৪৯:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪
  • ৪০ সময়

স্টাফ রিপোর্টার :২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দুঃখজনক, যা নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়, এ কথা বলেছেন বেসরাকরি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে কালো টাকা সাদা করা যাবে:অর্থমন্ত্রী

সংস্থাটি বলেছে, মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার এমন সুবিধা সৎ ও বৈধ আয়ের ব্যক্তি করদাতাকে নিরুৎসাহিত করার সংস্কৃতি গড়ে তোলার পাশাপাশি এবং এর আওতায় ঘোষিত অর্থ ও সম্পদের ব্যাপারে কোনো কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন করার সুযোগ না রাখা দেশে দুর্নীতি সহায়ক একটি উদার পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলেই শঙ্কা।
কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে অথবা  সামাজিক   অনুষ্ঠান করতে লাগবে আয়কর রিটার্নের রসিদ

একইসাথে, এই সুযোগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন দলের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার অঙ্গীকার, যা প্রায়শই সরকার প্রধানসহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব পুনরাবৃত্তি করে থাকেন, সেই অঙ্গীকারকে প্রহসনে পরিণত করেছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি। আরও বলেন, এর মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় না। এ ধরনের পদক্ষেপ বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য করা হয়। কিন্তু এর ফলাফল আমরা দেখি না। একেবারে কালোটাকা সাদা করার জোয়ার এসেছে বা প্রচুর টাকা এসেছে, এমন কিছু দেখা যায় না।

প্রস্তাবিত বাজেটকে গতানুগতিক উল্লেখ করে সিপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মানতে যেয়ে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বেশি নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবে তা আহরণ সম্ভব নয়। প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি, মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ ও রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার সাথে বাস্তব সূচকের কোনো মিল নেই। মূল্যস্ফীতি ৯ থেকে এক বছরে ৬.৫ শতাংশ আনাটা চ্যালেঞ্জ। মূল্যস্ফিতি কমানো নিয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই।

বাজেটে উদ্ভাবনী ও সাহসী পদক্ষেপ নেই বলেও জানান সিপিডির এ নির্বাহী পরিচালক। ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বেশ কিছু পণ্যের ওপর কিছু করছাড়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এটা ভালো প্রস্তাব। তবে দেখার বিষয় হলো এটা কীভাবে বাস্তবায়ন হয়। কারণ, দেখা যায় কর কমালেও সেটার বাজারে প্রভাব পড়ে না। এজন্য বাজার ব্যবস্থাপনা মনিটরিংটা গুরুত্বপূর্ণ।

About Author Information

Md Rasel Mia

জনপ্রিয় নিউজ

শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই: রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দুর্নীতিসহায়ক অসাংবিধানিক : সিপিডি

সময়ঃ ১১:৪৯:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার :২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দুঃখজনক, যা নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়, এ কথা বলেছেন বেসরাকরি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে কালো টাকা সাদা করা যাবে:অর্থমন্ত্রী

সংস্থাটি বলেছে, মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার এমন সুবিধা সৎ ও বৈধ আয়ের ব্যক্তি করদাতাকে নিরুৎসাহিত করার সংস্কৃতি গড়ে তোলার পাশাপাশি এবং এর আওতায় ঘোষিত অর্থ ও সম্পদের ব্যাপারে কোনো কর্তৃপক্ষের প্রশ্ন করার সুযোগ না রাখা দেশে দুর্নীতি সহায়ক একটি উদার পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলেই শঙ্কা।
কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে অথবা  সামাজিক   অনুষ্ঠান করতে লাগবে আয়কর রিটার্নের রসিদ

একইসাথে, এই সুযোগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন দলের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার অঙ্গীকার, যা প্রায়শই সরকার প্রধানসহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব পুনরাবৃত্তি করে থাকেন, সেই অঙ্গীকারকে প্রহসনে পরিণত করেছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি। আরও বলেন, এর মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয় না। এ ধরনের পদক্ষেপ বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য করা হয়। কিন্তু এর ফলাফল আমরা দেখি না। একেবারে কালোটাকা সাদা করার জোয়ার এসেছে বা প্রচুর টাকা এসেছে, এমন কিছু দেখা যায় না।

প্রস্তাবিত বাজেটকে গতানুগতিক উল্লেখ করে সিপিডির পক্ষ থেকে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত মানতে যেয়ে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বেশি নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবে তা আহরণ সম্ভব নয়। প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপি, মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভ ও রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার সাথে বাস্তব সূচকের কোনো মিল নেই। মূল্যস্ফীতি ৯ থেকে এক বছরে ৬.৫ শতাংশ আনাটা চ্যালেঞ্জ। মূল্যস্ফিতি কমানো নিয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই।

বাজেটে উদ্ভাবনী ও সাহসী পদক্ষেপ নেই বলেও জানান সিপিডির এ নির্বাহী পরিচালক। ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বেশ কিছু পণ্যের ওপর কিছু করছাড়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এটা ভালো প্রস্তাব। তবে দেখার বিষয় হলো এটা কীভাবে বাস্তবায়ন হয়। কারণ, দেখা যায় কর কমালেও সেটার বাজারে প্রভাব পড়ে না। এজন্য বাজার ব্যবস্থাপনা মনিটরিংটা গুরুত্বপূর্ণ।