০৫:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করবে:টিআইবি

  • Md Rasel Mia
  • সময়ঃ ১২:৩০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪
  • ৪১ সময়

স্টাফ রিপোর্টার :২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থের মোড়কে কালো টাকা সাদা করার অনৈতিক সুযোগ আবারও ফিরিয়ে আনায় বিস্ময় ও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার এমন সুবিধা সৎ ও বৈধ আয়ের ব্যক্তি করদাতাকে নিরুৎসাহিত করবে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে দেশে দুর্নীতি সহায়ক একটি উদার পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলেই শঙ্কা করেছে সংস্থাটি।

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দুর্নীতিসহায়ক অসাংবিধানিক : সিপিডি 

গাড়ি আমদানিতে শুল্ক দিতে হবে এমপিদের
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) টিআইবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এর মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী ইশতেহারে যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স’র অঙ্গীকার করা হয়েছে সেটিকে প্রহসনে পরিণত করেছে। এমতাবস্তায় কালো টাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ বাতিলের দাবি জানিয়েছে টিআইবি।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে
বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থে ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট বা জমি কেনা বৈধ করার যে ঢালাও সুযোগ দেয়া হয়েছে- তা সত্যিই হতাশার। এর চেয়েও বড় হতাশার বিষয় হচ্ছে- এ বিষয়ে কোনো কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন করার সুযোগ পাবে না। কালো টাকাকে সাদা করার সুযোগ দেয়ার এমন নিশ্চয়তা প্রদানের মাধ্যমে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জন করতে যেন সরকারিভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সহজ করে বললে, সরকার দায়মুক্তির নিশ্চয়তা দিয়ে প্রকারন্তরে নাগরিককে দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। রাজস্ব বাড়ানোর খোড়া যুক্তিতে দুর্নীতি ও অনৈতিকতার গভীরতর ও ব্যাপকতর বিকাশকে স্বাভাবিকতায় পরিণত করা হচ্ছে।
২০২৪ ২০২৫ অর্থবছরে যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে
মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার বিপরীতে সৎ করদাতাদের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ কর দেয়ার বিধান বৈষম্যমূলক এবং অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি একজন সুনাগরিকের প্রতি বৈষম্যমূলক, একইসঙ্গে তা সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। এ প্রক্রিয়ায় নৈতিক আপস করে প্রত্যাশিত রাজস্ব আদায়ের স্বপ্ন স্বল্প কিংবা দীর্ঘমেয়াদে কখনোই বাস্তবায়িত হবে না। দুই বছর আগে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। আবার দেশ থেকে পাচার করা টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেয়া হলেও, কেউ সে সুযোগ নেননি।

বাজেটে এমন সুযোগ আসলে কাদের স্বার্থে রাখা হচ্ছে সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

About Author Information

Md Rasel Mia

জনপ্রিয় নিউজ

শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই: রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দুর্নীতিকে আরও উৎসাহিত করবে:টিআইবি

সময়ঃ ১২:৩০:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার :২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রদর্শিত অর্থের মোড়কে কালো টাকা সাদা করার অনৈতিক সুযোগ আবারও ফিরিয়ে আনায় বিস্ময় ও ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার এমন সুবিধা সৎ ও বৈধ আয়ের ব্যক্তি করদাতাকে নিরুৎসাহিত করবে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে দেশে দুর্নীতি সহায়ক একটি উদার পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলেই শঙ্কা করেছে সংস্থাটি।

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দুর্নীতিসহায়ক অসাংবিধানিক : সিপিডি 

গাড়ি আমদানিতে শুল্ক দিতে হবে এমপিদের
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) টিআইবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এর মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী ইশতেহারে যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স’র অঙ্গীকার করা হয়েছে সেটিকে প্রহসনে পরিণত করেছে। এমতাবস্তায় কালো টাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ বাতিলের দাবি জানিয়েছে টিআইবি।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে
বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অপ্রদর্শিত অর্থে ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট বা জমি কেনা বৈধ করার যে ঢালাও সুযোগ দেয়া হয়েছে- তা সত্যিই হতাশার। এর চেয়েও বড় হতাশার বিষয় হচ্ছে- এ বিষয়ে কোনো কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন করার সুযোগ পাবে না। কালো টাকাকে সাদা করার সুযোগ দেয়ার এমন নিশ্চয়তা প্রদানের মাধ্যমে দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জন করতে যেন সরকারিভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সহজ করে বললে, সরকার দায়মুক্তির নিশ্চয়তা দিয়ে প্রকারন্তরে নাগরিককে দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। রাজস্ব বাড়ানোর খোড়া যুক্তিতে দুর্নীতি ও অনৈতিকতার গভীরতর ও ব্যাপকতর বিকাশকে স্বাভাবিকতায় পরিণত করা হচ্ছে।
২০২৪ ২০২৫ অর্থবছরে যেসব পণ্যের দাম কমতে পারে
মাত্র ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার বিপরীতে সৎ করদাতাদের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ কর দেয়ার বিধান বৈষম্যমূলক এবং অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি একজন সুনাগরিকের প্রতি বৈষম্যমূলক, একইসঙ্গে তা সংবিধানের ২০(২) অনুচ্ছেদকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। এ প্রক্রিয়ায় নৈতিক আপস করে প্রত্যাশিত রাজস্ব আদায়ের স্বপ্ন স্বল্প কিংবা দীর্ঘমেয়াদে কখনোই বাস্তবায়িত হবে না। দুই বছর আগে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত অর্থ বৈধ করার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। আবার দেশ থেকে পাচার করা টাকা ফেরত আনার সুযোগ দেয়া হলেও, কেউ সে সুযোগ নেননি।

বাজেটে এমন সুযোগ আসলে কাদের স্বার্থে রাখা হচ্ছে সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।