সিরিয়ার সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী দেশটিকে আসাদমুক্ত ঘোষণা করেছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা নিজেদের দখলে নিয়েছে তারা। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কমান্ডার জানান, রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠান আপাতত প্রধানমন্ত্রীর অধীনে চলবে।
গতরাতেই মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ যৌথ বিবৃতি দেয় এবং রাজনৈতিক সমাধানের জন্য আহ্বান জানায়।
এর আগে, বিমানে করে দামেস্ক ছাড়েন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। তবে তিনি দামেস্ক ছেড়ে কোথায় গেছেন, সেটা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
গতকাল শনিবার পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া গেলেও কোথাও প্রতিরোধের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। প্রায় বিনা বাধাতেই এগিয়ে গেছে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা। এছাড়া কয়েকটি কারাগার থেকে কয়েদিদের বের করে আনার খবরও শোনা যাচ্ছে।
যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ গ্রুপ সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে একটি ব্যক্তিগত বিমান দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে উড়ে গেছে এবং ‘সম্ভবত এতেই প্রেসিডেন্ট আসাদ ছিলেন’।
রাজধানীতে প্রবেশ শুরুর আগে বিদ্রোহীরা দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম শহর হোমসের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
দামেস্কে প্রবেশের ঘটনাকে বিদ্রোহী ইসলামপন্থী হায়াত তাহরির আল-শামস বা এইচটিএস এর প্রধান ‘ঐতিহাসিক মূহুর্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
“আমাদের বাহিনী রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করতে শুরু করেছে,” বিদ্রোহীরা তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা বিবিসির পার্টনার সিবিএসকে বলেছেন বিদ্রোহীদের হাতে দামেস্কে একটার পর একটা শহরতলীর পতন হচ্ছে।
এদিকে, দামেস্কের প্রাণকেন্দ্র উমায়াদ স্কয়ারে লোকজন উৎসব শুরু করেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এই এলাকাতেই সেখানকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনীর দপ্তরসহ সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যালয়।