ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। আজ রোববার কলেজের আজিমপুর ক্যাম্পাসের ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকেরা।
আজ বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর আজিমপুর ক্যাম্পাসের মূল ফটকে অবস্থান নেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। এ সময় তাঁরা ওই শিক্ষকের শাস্তি চেয়ে নানা স্লোগান দেন। তাঁদের হাতে ‘বাবার মুখোশে পিশাচ নিপাত যাক’, ‘নিরাপদ স্কুল চাই’, ‘নিপীড়কের ঠিকানা, ক্লাসরুমে হবে না’ প্রভৃতি লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল।
বিক্ষোভ চলাকালে কয়েক দফায় ছাত্রীদের কাছে যান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী ও অন্য শিক্ষকেরা। তাঁরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করে সময় চান। তবে শিক্ষার্থীরা তা মানেনি। তারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। এভাবে দীর্ঘক্ষণ তাদের বিক্ষোভ চলে।
বিক্ষোভরত একাধিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থী আজকের ঢাকাকে বলেন, কোচিং সেন্টার খুলে শিক্ষার্থীদের পড়ান অভিযুক্ত ওই জ্যেষ্ঠ শিক্ষক। ভালো সম্পর্ক তৈরি করে ওই কোচিংয়েই ছাত্রীদের যৌন হয়রানি করে আসছিলেন তিনি। তাঁর এসব কর্মকাণ্ডের ভুক্তভোগী অনেক ছাত্রী। এখন কথা বলার সুযোগ তৈরি হওয়ায় সবাই ক্ষোভ দেখাচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগের পর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুরের দিবা শাখার এক জ্যেষ্ঠ শিক্ষককে প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
গণিতের শিক্ষক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে গত ৭ ফেব্রুয়ারি কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে কোচিংয়ে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ করা হয়।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়েছে, “আপনার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া গেছে।
“শিক্ষার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে এবং এ বিষয়ে বিধি অনুযায়ী আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করার লক্ষ্যে আপনাকে ২৪/০২/২৪ তারিখ থেকে অধ্যক্ষ কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হল।