মোহাম্মদ সাইফুল আলম ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে হামলা- ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলুফার আনজুম পপি, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা এবং পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ রফিকুল ইসলামসহ ৬৩ জনের নামে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় আরো ২০০ থেকে ২৫০জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট ৪নং আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন গৌরীপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক মুনশীর পুত্র ও গৌরীপুর পৌর কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম কাজীয়েল হাজাত মুনশী।
মামলায় অন্য আসামীরা হলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক অ্যাসাইমেন্ট অফিসার ও ঢাবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সঞ্জিত দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য এইচ এম খায়রুল বাসার, রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আমিন জনি, ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তানজির আহমেদ রাজিব, পৌর যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মিথুন, গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও মাওহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, গৌরীপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল আওয়াল, সহনাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন কাদের রুবেল, বোকাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল মুক্তাদির শাহীন, বোকাইনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হেলিম, অচিন্তপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আশিক নুরী, গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক উপজেলা আ.লীগের সাবেক সহদপ্তর সম্পাদক মো. এনামুল হক সরকার, গৌরীপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম মাজহারুল আনোয়ার ফেরদৌস, তার স্ত্রী রোজী আক্তার, সিধলা ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি আহাম্মদ হোসেন মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান, ২নং গৌরীপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক রুকনুজ্জামান পল্লব, ডৌহাখলা ইউনিয়ন আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সরকার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি নাজিমুল ইসলাম শুভ, বুলেট সোহাগ, রহমত উল্লাহ, ওবায়দুল্লাহ, নুকুল রানী ভট্টাচার্য, নুরুল আমিন, কাজল কুমার সরকার, হাবিবুর রহমান, খায়রুল ইসলাম, সোহাগ মিয়া, সৈয়দ মাজহারুল ইসলাম জুয়েল, সৈয়দ রাসেল, সৈয়দ রাফসান জনি অভি, সেকান্দর আলী, সাইদুল মন্ডল, দেলোয়ার খান, এনায়েত, সজিব, আশরাফুল ইসলাম বাবু, মাহবুব হাসান সুজন, হুমায়ূন কবির, কাইয়ুম ওরফে খুনী কাইয়ুম, আবুল কাসেম, শাহাবুল আলম, শান্ত পণ্ডিত, তোফায়েল, আব্দুল মোতালেব, মো. মফিজ উদ্দিন, মো. বাচ্চু মিয়া, মোস্তফা, ফারুক ফকির, উজ্জ্বল সরকার, বাদল পাল, মো. আব্দুল আজিজ, আতিকুর রশিদ লিটন, আবির, কিরন, আব্দুল হেলিম, আলী আকবর, মো. রবি, মো. এনামূল।
মামলায় এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার এজাহারে উল্লেখিত ব্যাক্তিরা গত ৪ আগস্ট পৌর শহরের পাটবাজার মোড়ে ও শহরের বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন প্রতিহত করতে হামলা-ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।