১১:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ইকরামুল হক টিটু।

  • Md Rasel Mia
  • সময়ঃ ০৭:৫৭:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪
  • ৭৬ সময়

নিজস্ব প্রতিবেদক ।

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৩ তারিখ ঘড়ি প্রতীক পাওয়ার পর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণায় নামেন সাবেক মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে চলছে তার জোর প্রচারণা। একেবারেই শেষ সময়ে বিরামহীন গণসংযোগসহ নানাভাবে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু।

মসিক নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থী মাঠে থাকলেও সবচেয়ে বেশি সরগরম করে রেখেছেন ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী টিটু ও তার কর্মী-সমর্থকরা। দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বে থাকায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠেছে। যে কাউকে কাছে টেনে নেওয়ার মানসিকতা এবং প্রয়োজনে পাশে থাকাসহ নানা গুণ রয়েছে টিটুর। তাই শুধু রাজনৈতিক সহকর্মীরাই নয়, টিটুর প্রচারে নেমেছে সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, নারী উদ্যোক্তা, সংগঠকসহ সকল শ্রেণির মানুষ। যার ফলে একদিকে তার প্রচারও যেমন তুঙ্গে, তেমনি সাধারণ ভোটারদের মাঝেও সৃষ্টি হয়েছে ঘড়ি প্রতীকের গণজোয়ার।

সরেজমিনে নগরীর ৩৩ টি ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা গেছে, অটোরিকশার মাধ্যমে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, ফেসবুক, মোবাইলফোনে এসএমএস, ফোনকল, গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, মতবিনিময়সহ পত্রিকার হকারদের মাধ্যমে জোরে শোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা আ.লীগের কার্যকরী কমিটির ২১ জন নেতা, উপদেষ্টা পরিষদের চারজন নেতা, মহানগর আ.লীগের চারজন সহসভাপতিসহ ২৬ জন নেতা, উপদেষ্টা পরিষদের ১১ জন নেতা সরাসরি তার পক্ষে কাজ করছেন। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগ, মহানগর ছাত্রলীগ, যুবলীগের একাংশ, মহানগর কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগও মাঠে কাজ করছেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, কবি-সাহিত্যিক, শিল্পীসহ সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা ও উদ্যোক্তারাও নেমেছেন টিটুর প্রচারে।

মেয়র প্রার্থী টিটুর পক্ষে কেন কাজ করছেন জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: আল আমিন বলেন, প্রথমত উনি একজন তরুণ মানুষ, তরুণ মানুষ হিসেবে উনাকে খুব পছন্দ। তিনি তারুণ্যের দীপ্তিতে বিগত দিনগুলোতে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে উনি যে পরিমাণ সময় মাঠে দেয়, আমি মনে করি উনার ধারেকাছেও অন্য আর কেউ নেই। বিগত সময়ে সিটির পরিকল্পিত কাজের জন্য অন্য প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে টিটু মন্তব্য করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উত্তম চক্রবর্তী রকেট বলেন, টিটু জনবান্ধন একজন জনপ্রিয় নেতা, অন্য প্রার্থীরা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত না। এ কারণেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিটুর কাছাকাছি তাঁরা কেউ যেতে পারবে না।

শেষ সময়ে প্রচার-প্রচারণা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মো: ইকরামুল হক টিটু জানান, মসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আমি বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়েছি, ভোটারদের সাথে কথা বলেছি এবং প্রতীক পাওয়ার পর দিনরাত ডোর টু-ডোর যাওয়ার চেষ্টা করছি। এছাড়া বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমেও প্রচারণা চালাচ্ছি। পাশাপাশি আমার দলীয় নেতাকর্মীরাও নিজেদের অবস্থান থেকে আমার প্রচারের জন্য কাজ করছে, আশা করছি আগামী ৯ মার্চ সম্মানিত নগরবাসী আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে তাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন।

Tag :
About Author Information

Md Rasel Mia

জনপ্রিয় নিউজ

শপথ নিলেন প্রধান ও চার নির্বাচন কমিশনার

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ইকরামুল হক টিটু।

সময়ঃ ০৭:৫৭:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক ।

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৩ তারিখ ঘড়ি প্রতীক পাওয়ার পর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণায় নামেন সাবেক মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে চলছে তার জোর প্রচারণা। একেবারেই শেষ সময়ে বিরামহীন গণসংযোগসহ নানাভাবে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু।

মসিক নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ প্রার্থী মাঠে থাকলেও সবচেয়ে বেশি সরগরম করে রেখেছেন ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী টিটু ও তার কর্মী-সমর্থকরা। দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বে থাকায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠেছে। যে কাউকে কাছে টেনে নেওয়ার মানসিকতা এবং প্রয়োজনে পাশে থাকাসহ নানা গুণ রয়েছে টিটুর। তাই শুধু রাজনৈতিক সহকর্মীরাই নয়, টিটুর প্রচারে নেমেছে সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, নারী উদ্যোক্তা, সংগঠকসহ সকল শ্রেণির মানুষ। যার ফলে একদিকে তার প্রচারও যেমন তুঙ্গে, তেমনি সাধারণ ভোটারদের মাঝেও সৃষ্টি হয়েছে ঘড়ি প্রতীকের গণজোয়ার।

সরেজমিনে নগরীর ৩৩ টি ওয়ার্ডে ঘুরে দেখা গেছে, অটোরিকশার মাধ্যমে মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, ফেসবুক, মোবাইলফোনে এসএমএস, ফোনকল, গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, মতবিনিময়সহ পত্রিকার হকারদের মাধ্যমে জোরে শোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মধ্যে ময়মনসিংহ জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা আ.লীগের কার্যকরী কমিটির ২১ জন নেতা, উপদেষ্টা পরিষদের চারজন নেতা, মহানগর আ.লীগের চারজন সহসভাপতিসহ ২৬ জন নেতা, উপদেষ্টা পরিষদের ১১ জন নেতা সরাসরি তার পক্ষে কাজ করছেন। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগ, মহানগর ছাত্রলীগ, যুবলীগের একাংশ, মহানগর কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগও মাঠে কাজ করছেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, কবি-সাহিত্যিক, শিল্পীসহ সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা ও উদ্যোক্তারাও নেমেছেন টিটুর প্রচারে।

মেয়র প্রার্থী টিটুর পক্ষে কেন কাজ করছেন জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো: আল আমিন বলেন, প্রথমত উনি একজন তরুণ মানুষ, তরুণ মানুষ হিসেবে উনাকে খুব পছন্দ। তিনি তারুণ্যের দীপ্তিতে বিগত দিনগুলোতে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে উনি যে পরিমাণ সময় মাঠে দেয়, আমি মনে করি উনার ধারেকাছেও অন্য আর কেউ নেই। বিগত সময়ে সিটির পরিকল্পিত কাজের জন্য অন্য প্রার্থীদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে টিটু মন্তব্য করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উত্তম চক্রবর্তী রকেট বলেন, টিটু জনবান্ধন একজন জনপ্রিয় নেতা, অন্য প্রার্থীরা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত না। এ কারণেই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিটুর কাছাকাছি তাঁরা কেউ যেতে পারবে না।

শেষ সময়ে প্রচার-প্রচারণা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী মো: ইকরামুল হক টিটু জানান, মসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই আমি বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়েছি, ভোটারদের সাথে কথা বলেছি এবং প্রতীক পাওয়ার পর দিনরাত ডোর টু-ডোর যাওয়ার চেষ্টা করছি। এছাড়া বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমেও প্রচারণা চালাচ্ছি। পাশাপাশি আমার দলীয় নেতাকর্মীরাও নিজেদের অবস্থান থেকে আমার প্রচারের জন্য কাজ করছে, আশা করছি আগামী ৯ মার্চ সম্মানিত নগরবাসী আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে তাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন।