০৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

মাগুরার সেই শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, বোনের স্বামী-শ্বশুরসহ গ্রেফতার ৪

  • রিপোর্টার
  • Update Time : ০২:০৪:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫
  • ১ Time View

Oplus_131072

মাগুরা প্রতিনিধি:মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনার তিনদিন পর চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় এজহারভুক্ত চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. মিরাজুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় দুপুর আড়াইটার দিকে ওই শিশুর মা বাদী হয়ে সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।

তিনি আরও বলেন, এ মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৪২), বোনের শ্বাশুড়ি জাহেদা (৪৫) বোনের স্বামী সজীব শেখ (১৮) ও বোনের ভাসুর রাতুল শেখকে (২০ ) আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় এজহারভুক্ত চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, ৪ মাস আগে মাগুরার নিজন্দুয়ালী গ্রামের হিটু শেখের ছেলে সজিবের সাথে বড় মেয়ের বিয়ে হয়। পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। কিন্তু বিবাহের পর থেকেই হিটু শেখ তার ছেলের স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও আমার বড় মেয়েকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। বিষয়টি সকলেই জানে। এরই মধ্যে গত ১ মার্চ (শনিবার) আমার ছোট মেয়ে মাগুরায় বড় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের দরোজা খোলা পেয়ে মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখ ঘুমন্ত ছোট মেয়েকে নিজের ঘরে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটি চিৎকার করলে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করে।

রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে বড় মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে এবং ধর্ষণের ঘটনা জানতে পারে। এ সময় এ ঘটনা পরিবারকে জানাতে চাইলে মোবাইল কেড়ে নিয়ে বড় মেয়েকে মারধর করে আটকে রাখে। ঘটনাটি জামাই সজীবসহ পরিবারের সদস্যরা কাউকে না বলার জন্য বড় মেয়েকে নিষেধ করে। শুধু তাই নয়, এমনকি ধর্ষণের শিকার শিশু এবং তার বড় বোনকে হিটু শেখের ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয়। চিকিৎসা ছাড়া দীর্ঘ সময় আটকা থাকায় শিশুটির কাতর চিৎকারে ঘটনাটি নিয়ে প্রতিবেশীদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় তারা শিশুটিকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। পরে তাকে মাগুরা থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। একই দিন সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে মাগুরার পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা জানান, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় ধর্ষণের পর হত্যাচেষ্টার মামলার করেছেন। দুপুরে মামলাটি গ্রহণ করা হয়। ইতোমধ্যে মামলার এজাহারে উল্লেখিত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মাগুরার সেই শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, বোনের স্বামী-শ্বশুরসহ গ্রেফতার ৪

Update Time : ০২:০৪:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

মাগুরা প্রতিনিধি:মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনার তিনদিন পর চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় এজহারভুক্ত চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. মিরাজুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় দুপুর আড়াইটার দিকে ওই শিশুর মা বাদী হয়ে সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।

তিনি আরও বলেন, এ মামলায় শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৪২), বোনের শ্বাশুড়ি জাহেদা (৪৫) বোনের স্বামী সজীব শেখ (১৮) ও বোনের ভাসুর রাতুল শেখকে (২০ ) আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় এজহারভুক্ত চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, ৪ মাস আগে মাগুরার নিজন্দুয়ালী গ্রামের হিটু শেখের ছেলে সজিবের সাথে বড় মেয়ের বিয়ে হয়। পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। কিন্তু বিবাহের পর থেকেই হিটু শেখ তার ছেলের স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও আমার বড় মেয়েকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। বিষয়টি সকলেই জানে। এরই মধ্যে গত ১ মার্চ (শনিবার) আমার ছোট মেয়ে মাগুরায় বড় মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। সেখানে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের দরোজা খোলা পেয়ে মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখ ঘুমন্ত ছোট মেয়েকে নিজের ঘরে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটি চিৎকার করলে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করার চেষ্টা করে।

রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে বড় মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিকে ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে এবং ধর্ষণের ঘটনা জানতে পারে। এ সময় এ ঘটনা পরিবারকে জানাতে চাইলে মোবাইল কেড়ে নিয়ে বড় মেয়েকে মারধর করে আটকে রাখে। ঘটনাটি জামাই সজীবসহ পরিবারের সদস্যরা কাউকে না বলার জন্য বড় মেয়েকে নিষেধ করে। শুধু তাই নয়, এমনকি ধর্ষণের শিকার শিশু এবং তার বড় বোনকে হিটু শেখের ঘরের মধ্যে আটকে রাখা হয়। চিকিৎসা ছাড়া দীর্ঘ সময় আটকা থাকায় শিশুটির কাতর চিৎকারে ঘটনাটি নিয়ে প্রতিবেশীদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় তারা শিশুটিকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। পরে তাকে মাগুরা থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। একই দিন সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ব্যাপারে মাগুরার পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা জানান, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় ধর্ষণের পর হত্যাচেষ্টার মামলার করেছেন। দুপুরে মামলাটি গ্রহণ করা হয়। ইতোমধ্যে মামলার এজাহারে উল্লেখিত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।