৩ দিনের মার্কিন সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমেরিকা গিয়ে কোয়াড সামিটে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কোয়াড সামিটের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে তার নিজের শহর উইলমিংটন, ডেলাওয়্যারে দেখা করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একটি প্রাচীন রুপোলী হাতে-খোদেই করা ট্রেনের মডেল উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
ভারতের যাত্রীবাহী ট্রেনে যে স্ট্যান্ডার্ড ফরম্যাট ব্যবহার করা হয়, ঠিক তেমন ভাবেই ট্রেনের মডেলের প্রধান ক্যারেজের পাশে “DELHI-DELAWARE” এবং ইঞ্জিনের পাশে ইংরেজি এবং হিন্দিতে “INDIAN RAILWAYS” লিখে কাস্টমাইজ করা হয়েছে। এই মডেল ট্রেন তৈরি করেছেন মহারাষ্ট্রের কারিগররা। এই রাজ্য রৌপ্য কারুকার্যে সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত। জানা গিয়েছে, এই ট্রেনের মডেলটি ৯২.৫ % রূপো দিয়ে তৈরি।
ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনকেও একটি কাশ্মীরি পশমিনা শাল উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দিনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন যে তিনি বাইডেনের সঙ্গে একটি ‘অত্যন্ত ফলপ্রসূ’ বৈঠক করেছেন যার মধ্যে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থের ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল সহ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে মতামত বিনিময় করেছেন।
ডেলাওয়্যারের গ্রিনভিলে তার বাসভবনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আজ স্বাগত জানান, যেখানে দুই নেতা একে অপরকে আলিঙ্গন করেন। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান যেখানে পরে দুজনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। এক ঘন্টার উপর ধরে চলে এই বৈঠক।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “ডেলাওয়্যারের গ্রিনভিলে তার বাসভবনে আমাকে আতিথেয়তা করার জন্য আমি প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল। বৈঠকের সময় আমরা আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছি।”
মার্কিন প্রেসিডেন্টও এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে লেখেন যে ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অংশীদারিত্ব “ইতিহাসের যে কোনও সময়ের চেয়ে শক্তিশালী, ঘনিষ্ঠ এবং আরও গতিশীল”। তিনি আরও বলেন যে, “প্রধানমন্ত্রী মোদী, আমরা যতবার বসেছি, সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করার আমাদের ক্ষমতা দেখে আমি মুগ্ধ। আজও ঠিক একই ছিল“
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে জারি করা একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ভারত-মার্কিন অংশীদারিত্ব “নির্ধারকভাবে একটি উচ্চাভিলাষী এজেন্ডা প্রদান করছে যা বিশ্বের ভালোর জন্য কাজ করে।” এছাড়াও এটিকে “একুশ শতকের সংজ্ঞায়িত অংশীদারিত্ব” বলে অভিহিত করা হয়েছে।