স্টাফ রিপোর্টার : ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিললেও শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ তার বাবাকে না দেওয়ায় বাবা সবুজ আলী ও মা বিউটি বেগম বিচার দাবি করেছেন অভিযোগকারীর রমনা মন্দিরের কয়েকজনের বিরুদ্ধে।পরে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
আরও পড়ুন
সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় শনাক্ত
সন্তানের মরদেহ নিয়ে হয়রানির বিচার চান বৃষ্টির বাবা-মা
২৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বেইলি রোডের ৭ তলা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত বৃষ্টি খাতুনকে হিন্দু দাবি করে রমনা মন্দিরের সভাপতি অভিযোগ করেন। তার প্রেক্ষিতে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ১১ দিন পর বৃষ্টির মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে তার বাবা-মার কাছে। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার বনগ্রাম পশ্চিম পাড়ায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন ভয়েজার গ্রুপ এ হিসাব রক্ষক পদে চাকরি: বেতন আলোচনা সাপেক্ষে
ভয়েজার গ্রুপ এ অফিসার পদে নিয়োগ
ভয়েজার গ্রুপ এ পিয়ন পদে নিয়োগ
মরদেহ দাফনের আগে বৃষ্টির বাবা সবুজ আলী জানান, মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করার পর তার ফিঙ্গার নেওয়া হয় এবং বৃষ্টির সঙ্গে ফিঙ্গার ম্যাচ করে। তারপর কে বা করা এসে লিখিত অভিযোগ দেয় যে তার মেয়ে হিন্দু। তারপর থেকেই শুরু হয় জটিলতা। মেয়ের মরদেহ নিয়ে নাটকীয়তা সৃষ্টি করার কারণে ১১ দিন পর মেয়ের মরদেহ পেয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশে আইন আছে, আইনের আওতায় এনে তাদের বিচার করা হোক।
স্থানীয় বেতবাড়িয়া চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির লাশ ১১ দিন পর বাড়িতে এনে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। দাফন নিয়ে কোনো জটিলতা সৃষ্টি হয়নি।
খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ আন-নূর জায়েদ জানান, মৃত্যুর ১১ দিন পর বৃষ্টির মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এনে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকার পরিবেশ স্বাভাবিক আছে।
রমজানে ভারতীয় ভিসা সার্ভিস এর সময় পরিবর্তন
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের সময় এক বন্ধুর সঙ্গে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন অভিশ্রুতি। পরে বেইলি রোডের সেই আগুনে তিনি মারা যান। এরপর তার মরদেহ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। তার মরদেহের দুইজন দাবিদার পাওয়া যায়। কালী মন্দিরের একজন দাবি করেন; অভিশ্রুতি শাস্ত্রী সেই কালী মন্দিরে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। পরে আদালতের নির্দেশে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর তার ডিএনএ বাবা-মায়ের সঙ্গে মিলে যায় এবং জাতীয় পরিচয়পত্র ও সার্টিফিকেটের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। রমনা কালী মন্দিরের পক্ষ থেকেও পুলিশকে লিখিতভাবে তাদের দাবি না থাকার বিষয়টি জানানো হয়। যেহেতু অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের ডিএনএ স্যাম্পল তার বাবা-মায়ের সঙ্গে মিলে গেছে তাই তার বাবার কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, সব জটিলতা কাটিয়ে নারী সাংবাদিক বৃষ্টির মরদেহ বাড়িতে এনে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের পাশে আছি সব সময়।