ডেস্ক রিপোর্ট : Fruits and Vegetables: কাজু, লিচু থেকে আলু, চেনা খাবারগুলি এইভাবে খেলেই ‘বিষ’! শরীরের সর্বনাশ হওয়ার আগে সাবধান হন।
অতি পরিচিত স্বাস্থ্যকর খাবার গুলিই বড় সমস্যা ডেকে আনতে পারে। যদি না সঠিক নিয়ম মেনে খাওয়া হয়।
ফল হোক বা সবজি। শরীরের সুস্থতার জন্য সকলের গুরুত্ব অপরিসীম। কাজু, কিশমিশের মতো ড্রাই ফ্রুটই বা লিচু, চেরির মতো রসালো ফল। প্রতিটি জিনিসেরই শরীরে আলাদা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। কিংবা আলু, ডাল। এসবই অতি পরিচিত খাবার। প্রতিটি পরিবারের নিত্যসঙ্গী। কিন্তু অতি পরিচিত স্বাস্থ্যকর খাবার গুলিই বড় সমস্যা ডেকে আনতে পারে। যদি না সঠিক নিয়ম মেনে খাওয়া হয়।
অরেগন হেলথ অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির গবেষকরা জানালেন বেশ কিছু ফল, সবজি, শুকনো ফল এমনকি ডালের কথা। যেগুলি সঠিক উপায়ে না খেলে শরীরের জন্য ঘাতক প্রমাণিত হতে পারে। তাই বড় ভুল করার আগে জেনে নিন সেইসব ফল, সবজির নাম।
প্রতিটি বাঙালি বাড়িতে চাল, ডালের মতো নিত্যসঙ্গী আলু। কিন্তু আলু খাওয়ার আগেও সাবধান হয়ে যান। আলুর গায়ে যদি সবুজ রং থাকে তাহলে কখনওই খাবেন না।
সবুজ আলুতে বিষাক্ত অ্যালকালয়েড সোলানাইন নামক একটি যৌগ পাওয়া যায় যা শরীরের পক্ষে মোটেই সুবিধার নয়। পেট ব্যথা, হ্যালুসিনেশন বা এমনকি পক্ষাঘাত হতে পারে। আলু অঙ্কুরিত হলেও তা খাবেন না।
চেরি, এপ্রিকট, কুল এবং পীচের মতো ফলের বোঁটার গর্তে ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। তাই এই ধরণের ফল খাওয়ার আগে বোঁটার জায়গাটি ভাল করে দেখে নিন।
লিচু এবং কাজুবাদামের মতো ফল স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। কিন্তু গবেষণা দলের প্রধান প্রফেসর পিটার স্পেন্সার বলেছেন, ঠিকমতো না খেলে এগুলো ক্ষতির কারণ হতে পারে।
লিচু স্বাস্থ্যের জন্য অতি উপকারী একটি ফল। কিন্তু কাঁচা খেলেই গন্ডগোল। এতে উপস্থিত বিষাক্ত পদার্থের কারণে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা কমে যেতে পারে। এতে অসুস্থ ও অপুষ্টিতে আক্রান্ত মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
কাঁচা কাজুবাদামে উরুশিওল নামক একটি উপাদান পাওয়া যায়। এটি একই যৌগ যা আইভি নামক উদ্ভিদের পাতায় পাওয়া যায় এবং এটি বেশ বিষাক্ত। এর ফলে ত্বকে সমস্যা দেখা দিতে পারে। এগুলো খেলে পেটের অনেক ক্ষতি হতে পারে।
আকি জ্যামাইকার জাতীয় ফল, যা সেখানে খুব জনপ্রিয়। লিচুতে যে বিষ পাওয়া যায় এই ফলেও সেই একই বিষ পাওয়া যায়। ফলে কাঁচা অবস্থায় একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। কাঁচা অ্যাকি জ্বর এবং গুরুতর সংক্রমণের কারণ হতে পারে।
আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এবং এশিয়ার অনেক দেশে কাসাভা ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়। কিন্তু যদি এটি সঠিকভাবে রান্না করা না হয় তবে এটি থেকে হাইড্রোজেন সায়ানাইড নিঃসরণ করতে পারে, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এটি থাইরয়েড হরমোনের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। এমনকি এটি ব্রেন হেমারেজ হতে পারে।
কিডনি রোগে আক্রান্তদের কখনই স্টারফ্রুট বা কামরাঙাগাছ ফল খাওয়া উচিত নয়। এতে রয়েছে মারাত্মক নিউরোটক্সিন। এটি খেলে হেঁচকি, বমি, দুর্বলতা, মানসিক বিভ্রান্তি হতে পারে। স্থায়ী মৃগীরোগ হতে পারে। এমনকী অবস্থা গুরুতর ব্যক্তি কোমাতেও চলে যেতে পারে।
রাজমা ডাল কখনওই কাঁচা খাওয়া উচিত নয়। এতে ফাইটোহেম্যাগ্লুটিনিন নামক টক্সিন থাকে। লাল রাজমাও এড়িয়ে চলা উচিত।সূত্র নিুউজ বাংলা ইন্ডিয়া।