বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) পিলখানা হত্যাকাণ্ডের শিকার সেনা কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনে জাতীয় স্বাধীন কমিশন গঠন করেছে সরকার। গত ২ ডিসেম্বর সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ তথ্য জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে জানায়, মতামতের জন্য বর্তমানে এটি আইন মন্ত্রণালয়ে আছে। তবে বিষয়টি শুনে উষ্মা প্রকাশ করে আদালত বলেন, কমিশনের পূর্ণাঙ্গ তথ্য এনে হাইকোর্টকে জানাবেন।জাতীয় স্বাধীন কমিশন গঠনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আইনি নোটিশ পাঠিয়ে সাড়া না পাওয়ায় গত মাসে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ ও বিপ্লব কুমার পোদ্দার। গত ৬ নভেম্বর এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেওয়া রিটকারীর আবেদন ১০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
ওইদিন আদালত বেঞ্চ রুলসহ আবেদন ১০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দেন। রুলে জাতীয় স্বাধীন কমিশন গঠনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এবং জাতীয় স্বাধীন কমিশন গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘শহিদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুলে জানতে চাওয়া হয়।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তৎকালীন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পিলখানায় বিদ্রোহী জওয়ানদের হাতে মারা যান ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা।