০১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাদপন্থিদের বিচারসহ ৯ দফা দাবি মাওলানা সাদকে আসতে দিতে চান না জুবায়েরপন্থিরা

  • Md Mizanur Rahman
  • সময়ঃ ০৪:০৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৩ সময়

বিশ্ব ইজতেমায় তাবলিগ জামাতের একাংশের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর আগমনকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক ভাগ মাওলানা সাদকে ইজতেমায় আসতে দিতে চান না। আরেক ভাগ তাকে আনতে চান। বিশ্ব ইজতেমায় যেকোনো মূল্যে তাবলিগ জামাতের অন্যতম মুরুব্বি মাওলানা সাদকে উপস্থিত করার দাবি জানিয়েছেন তার অনুসারীরা। একইসঙ্গে এবার প্রথম পর্বে ইজতেমা করার দাবিও জানিয়েছেন তারা। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইজতেমার তারিখ নির্ধারণের সভায় উপস্থিত হয়ে এ দাবি জানান তারা।

বক্তারা বলেন, আমরা জুবায়েরপন্থি নই, তাবলিগ জামাত সারা বিশ্বে যেভাবে চলছে, সেভাবেই আমরা চলব। যারা ইসলামের নামে বিদ্বেষ ছড়াবে, তাদের প্রতিহত করা হবে।

এদিন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসাইনসহ হেফাজতে ইসলামের প্রধান শাহ মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শায়খুল হাদিস আজিজুল হকের ছেলে মাওলানা মাহবুবুল হক বলেন, সাবধান! তাবলিগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। বাঘের লেজ দিয়ে কান চুলকালে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।

হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, আমরা ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এ সরকারকে বসিয়েছি। কেউ যদি রক্ত চক্ষু দেখায়, তবে আমরা তাদের চক্ষু উপড়ে ফেলব। জাতির পথপ্রদর্শক হবে আলেমরা। তাবলিগের রাহবারও আলেমদের থেকেই হবে, অন্য কেউ নয়। যতটুকু সম্ভব, তাবলিগের সিদ্ধান্ত আলেমদের ঘোষণার ভিত্তিতে কার্যকর হবে।

এ সময় কাকরাইল মসজিদ, টঙ্গীর ইজতেমা নিয়ে কথা বলেন আলেমরা। তারা দাবি তুলে বলেন, ওলামা-কেরামের নেতৃত্বে কাকরাইল মসজিদ চলবে, ইজতেমাও আলেমদের দ্বারা পরিচালিত হবে।

সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য শাহরিয়ার মাহমুদ বলেন, আগের আওয়ামী লীগ সরকার সাদের সব ফেতনা বাস্তবায়ন করেছে, বর্তমান সরকারকে আমরা বিশেষভাবে অনুরোধ করছি, আওয়ামী লীগকে অনুসরণ না করে বিপরীত দিকে আসুন এবং তাবলিগের সমস্যা বুঝে সমাধান করুন। আমাদের পাশে ৫ লাখ মাওলানা ও মাসায়েখ রয়েছেন, তাদের সঙ্গে মাত্র ৪-৫ শত মানুষ আছে।

এর আগে মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে জনসমুদ্রে রূপ নেয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তার আশপাশের এলাকা। সারা দেশ থেকে আগত ওলামা-মাশায়েখ, বিভিন্না মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন এখানে। সম্মেলনের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

উল্লেখ্য, তাবলিগের দুই পক্ষের জন্য ২০১৯ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতিবার দ্বিতীয় পর্বে ইজতেমা করেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। এবার তারা প্রথম পর্বে ইজতেমা করার দাবি জানান। তারই বিরোধিতা করে এই মহাসম্মেলনের ডাক দেন কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক আলেমরা।

Tag :
About Author Information

Md Mizanur Rahman

জনপ্রিয় নিউজ

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ইউএনও ২২ কি.মি সড়কে রোপন করলেন তালবীজ

সাদপন্থিদের বিচারসহ ৯ দফা দাবি মাওলানা সাদকে আসতে দিতে চান না জুবায়েরপন্থিরা

সময়ঃ ০৪:০৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্ব ইজতেমায় তাবলিগ জামাতের একাংশের আমির মাওলানা সাদ কান্ধলভীর আগমনকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক ভাগ মাওলানা সাদকে ইজতেমায় আসতে দিতে চান না। আরেক ভাগ তাকে আনতে চান। বিশ্ব ইজতেমায় যেকোনো মূল্যে তাবলিগ জামাতের অন্যতম মুরুব্বি মাওলানা সাদকে উপস্থিত করার দাবি জানিয়েছেন তার অনুসারীরা। একইসঙ্গে এবার প্রথম পর্বে ইজতেমা করার দাবিও জানিয়েছেন তারা। সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইজতেমার তারিখ নির্ধারণের সভায় উপস্থিত হয়ে এ দাবি জানান তারা।

বক্তারা বলেন, আমরা জুবায়েরপন্থি নই, তাবলিগ জামাত সারা বিশ্বে যেভাবে চলছে, সেভাবেই আমরা চলব। যারা ইসলামের নামে বিদ্বেষ ছড়াবে, তাদের প্রতিহত করা হবে।

এদিন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসাইনসহ হেফাজতে ইসলামের প্রধান শাহ মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

শায়খুল হাদিস আজিজুল হকের ছেলে মাওলানা মাহবুবুল হক বলেন, সাবধান! তাবলিগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন না। বাঘের লেজ দিয়ে কান চুলকালে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।

হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব বলেন, আমরা ১৫ বছর ধরে ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এ সরকারকে বসিয়েছি। কেউ যদি রক্ত চক্ষু দেখায়, তবে আমরা তাদের চক্ষু উপড়ে ফেলব। জাতির পথপ্রদর্শক হবে আলেমরা। তাবলিগের রাহবারও আলেমদের থেকেই হবে, অন্য কেউ নয়। যতটুকু সম্ভব, তাবলিগের সিদ্ধান্ত আলেমদের ঘোষণার ভিত্তিতে কার্যকর হবে।

এ সময় কাকরাইল মসজিদ, টঙ্গীর ইজতেমা নিয়ে কথা বলেন আলেমরা। তারা দাবি তুলে বলেন, ওলামা-কেরামের নেতৃত্বে কাকরাইল মসজিদ চলবে, ইজতেমাও আলেমদের দ্বারা পরিচালিত হবে।

সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য শাহরিয়ার মাহমুদ বলেন, আগের আওয়ামী লীগ সরকার সাদের সব ফেতনা বাস্তবায়ন করেছে, বর্তমান সরকারকে আমরা বিশেষভাবে অনুরোধ করছি, আওয়ামী লীগকে অনুসরণ না করে বিপরীত দিকে আসুন এবং তাবলিগের সমস্যা বুঝে সমাধান করুন। আমাদের পাশে ৫ লাখ মাওলানা ও মাসায়েখ রয়েছেন, তাদের সঙ্গে মাত্র ৪-৫ শত মানুষ আছে।

এর আগে মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে জনসমুদ্রে রূপ নেয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তার আশপাশের এলাকা। সারা দেশ থেকে আগত ওলামা-মাশায়েখ, বিভিন্না মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ভিড় জমিয়েছেন এখানে। সম্মেলনের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

উল্লেখ্য, তাবলিগের দুই পক্ষের জন্য ২০১৯ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতিবার দ্বিতীয় পর্বে ইজতেমা করেন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। এবার তারা প্রথম পর্বে ইজতেমা করার দাবি জানান। তারই বিরোধিতা করে এই মহাসম্মেলনের ডাক দেন কওমি মাদ্রাসা ভিত্তিক আলেমরা।