রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে দুজনেরই ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন পুলিশ। আসামিদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক তাদের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানি আবু সায়েদ হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ৪ সেপ্টেম্বর তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। এছাড়া রাজধানীর চাঁনখারপুল এলাকায় মোহাম্মদ ইসমামুল হক নামের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেলে নিউমার্কেট থানার নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের গুলিতে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ মারা যান। এ ঘটনায় তার শ্যালক আব্দুর রহমান বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এ মামলায়ও আবদুল্লাহ আল-মামুনকে রিমান্ডে পেল পুলিশ।
সাবেক কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিককে ২২ আগস্ট লালবাগ থানার কেল্লার মোড় এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজিমপুরে কলেজছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহকে হত্যার মামলায় ২৩ আগস্ট তার পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় আবারও তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।