স্টাফ রিপোর্টার :নেতৃত্বের পরিবর্তন ছাড়া বিএনপি আর কখনো সচল হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব পদে নিয়োগ পেলেন সাংবাদিক নাইমুল ইসলাম খান

মঙ্গলবার (৪ মে) দুপুরে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে হাছান মাহমুদ এমপি বলেন, আপনারা লিফলেট বিতরণ করেন, পেট্রোল, বোমা বিতরণ করবেন না। সেটা করলে ‍উচিৎ শিক্ষা দেওয়া হবে। বিএনপি নির্বাচন বানচাল করার জন্য সকল ধরনের চেষ্টা করছে কিন্তু এদেশের জনগন আওয়ামী লীগের সাথে ছিল বলে সফল হতে পারেনাই।তিনি বলেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নে হতবাক।বাংলাদেশের আদালত বিচার ব্যাবস্তা ও দুদক সম্পুর্ন স্বাধীন। খালেদা জিয়া আজ দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। তিনি এখন শেখ হাসিনার দয়ায় বাসায় থাকেন।
অফিসের সময়সূচি পরিবর্তন, সকাল ৯ টা হতে বিকাল ৫ টা

এ সময় তিনি বলেন, তারেক রহমান ও কোকো দুর্নীতিগ্রস্ত। তাদের বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এমনকি বেগম জিয়াও দুর্নীতিগ্রস্ত। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বরপুত্র হলো তারেক রহমান। তাদের পৃষ্ঠপোষক মির্জা ফখরুল। ক্ষমতায় থাকাকালে হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল বিএনপি। সব ষড়যন্ত্র আমরা মোকাবিলা করেছি, ভবিষ্যতেও ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশ এগিয়ে যাবে।

সভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশ-বিদেশের অনেকে ঠেলেও বিএনপিকে চালু করতে পারেনি। ব্যাটারি পরিবর্তন করা ছাড়া তা সম্ভব নয়। ব্যাটারি থাকে লন্ডনে, ব্যাটারি ওটা ফেলে দিতে হবে। ব্যাটারি না পাল্টালে এই গাড়ি কোন দিন চালু হবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক  শাহে আলম মুরাদ বলেন,বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান এ দেশে স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তির রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবেই বিএনপির সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধী এই অপশক্তির গভীর আঁতাত ও সম্পর্ক রয়েছে। যে কারণে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা তাদের প্রতি একধরনের দায়বদ্ধতা অনুভব করেন এবং সর্বদা পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে থাকেন। স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির রাজনীতির সামাজিক বৈধতা ও স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বরাবরই চেষ্টা চালিয়ে আসছে। বিএনপির রাজনীতি এই চক্রেই আবর্তিত। তারা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে নিজেদের রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।এই দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।তিনি বিএনপির উদ্দেশ্য বলেন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র না করে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হন।
প্রধানমন্ত্রীর এপিএস লিকু ও ডিপিএস তুষারের নিয়োগ বাতিল
বাংলাদেশ স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল এর সঞ্চলনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম মুরাদ,সাবেক ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট বলরাম পোদ্দার,বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সভাপতি জিন্নাত আলী খান জিন্নাহ,ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ লিয়াকত আলী খান,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মোঃ রাসেল মিয়া,আওয়ামী লীগের প্রবাসী লীগের সাধারণ সম্পাদক, মোঃ আল মামুন সরকার,বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোল্লা সানাউল হক মাহাবুব সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ।