ডেস্ক রিপোর্ট : কান্নাজড়িত কণ্ঠে ডিভোর্সের ঘোষণা দিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজের ফেসবুকে এক ভিডিওতে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।
ভিডিওর শুরুতে মাহি বলেন, ‘আজকে এ রকম একটা ভিডিও করতে হবে সেটা ভাবিনি। তবে মনে হয়েছে সবাইকে বলার সময় হয়েছে। নিজেদের ভালোর জন্যই সবার জানা উচিত। একটা ছাদের নিচে দুটি মানুষ কেন ভালো নেই, সেটা তারাই ভালো জানে। এটা বাইরের থেকে বোঝা যাবে না। অনেক দিন যাবত আমরা আলাদা থাকছি।’
ভিডিও বার্তায় মাহি বলেন, ‘আমরা দু’জন মিলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে রাকিব খুব ভালো মানুষ। তাকে আমি সম্মান করি। অনেক কেয়ারিং সে। খুব দ্রুতই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদে যাচ্ছি। কবে আর কীভাবে হবে সেটিও দুজন মিলেই ঠিক করব।’
নেটিজেনদের উদ্দেশে মাহি বলেন, ‘আমার কলিজার টুকরা ফারিসের ছবি যখন পোস্ট করি তখন আপনারা অনেক বাজে কমেন্ট করেন। হয়তো এখন এসব বুঝতে পারে না; কিন্তু একসময় এসব বুঝবে, তখন নিশ্চয়ই কষ্ট পাবে। দয়া করে এসব করবেন না। আপনারা আমার ছেলে ফারিসের জন্য দোয়া করবেন। যেন ওকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।’
ভিডিওর শেষে মাহি বলেন, ‘আমি নতুন করে কাজ শুরু করব। জীবনে আমার অনেক যুদ্ধ। বাচ্চাটা বড় হবে। ওর জন্য অনেক কিছু করার আছে। সবাই দোয়া করবেন, যেন ফারিসকে নিয়ে আমার পথচলা মসৃণ হয়।’
আলোচিত এই নায়িকা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন মাহি, না পেয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করেন মাহিয়া মাহি। ট্রাক মার্কা নিয়ে নির্বাচন করে নৌকা মার্কার প্রার্থীর নিকট বিপুল ভোটে হেরে যায়।এর আগে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন মেয়র পদে করতে চেয়েছিলেন মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রাকিব সরকার।এছাড়াও মহিলা সংরক্ষিত আসনের আওয়ামী লীগের দলিয়া সমর্থন এর মনোনয়ন পত্র কিনেন, কিন্তু মনোনয়ন পাননি।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রাকিবকে বিয়ে করেন মাহি। তাদের ঘরে পুত্রসন্তান ফারিস রয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেন মাহি। আর ২০২১ সালের ২২ মে পাঁচ বছরের বিবাহিত সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেন এই অভিনেত্রী। এরপরই রাকিবের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর বিষয়টি আলোচনায় আসে। এটি রাকিবের দ্বিতীয় সংসার।