নিজস্ব প্রতিবেদক।
ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়কের সদর উপজেলার আলালপুর এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে বাসের ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় নিহত সাতজনের দাফন-কাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এই আর্থিক সহযোগিতা ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নিহতদের দাফন-কাফনের জন্য প্রত্যেক পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে এই তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন ফুলপুর উপজেলার চর আশাবট গ্রামের বাবলু আহমেদ (৫৫), তার স্ত্রী শীলা আক্তার (৪০) ও ছেলে সাদমান আহমেদ(১০), সিএনজিচালক ফুলপুর উপজেলার দিও গ্রামের আল আমিন (২৫), ধোবাউড়া উপজেলার উত্তর ডোমঘাটা গ্রামের গোলাম মোস্তফা (৫০), ফুলপুর উপজেলার সিংহেশ্বর গ্রামের আব্দুল বারেক মণ্ডল (৪৮) এবং অজ্ঞাত আরও একজন।
কোতোয়ালি মডেল থানার কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, যাত্রীবাহী একটি সিএনজি ফুলপুর থেকে ময়মনসিংহ যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা শেরপুরগামী একটি বাস সামনে থেকে ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সিএনজিচালকসহ সবাই ঘটনাস্থলেই মারা যান।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় কৃষক মো. আব্দুল খালেক বলেন, সিএনজিটি ময়মনসিংহ যাচ্ছিল। এ সময় তারাকান্দাগামী একটি মাহিন্দ্রকে যাত্রীবাহী সিএনজি পাশ কাটিয়ে ওভারটেক করে হঠাৎ দ্রুতগামী বাসের মুখোমুখি হয়। এরপর বাসটি প্রায় ৩০ গজ সামনে গিয়ে ব্রেক করে। এতে দুমড়েমুচড়ে যাওয়া সিএনজির সবাই মারা যান।
এদিকে শেরপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এই দুর্ঘটনায় দুই পাশের অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে সড়কের যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। বর্তমানে ওই সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক।