০৮:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল : প্রধানমন্ত্রী

  • Md Rasel Mia
  • সময়ঃ ০৪:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৭১ সময়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একুশ মাথানত না করতে শিখিয়েছে। তাই মাথা উঁচু করে জাতিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে ‘একুশে পদক-২০২৪’ প্রদানকালে দেওয়া প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় দেশ ও মানুষের জন্য যারা নিবেদিত হয়ে কাজ করছে সেসব ত্যাগী মানুষদের খুঁজে বের করার জন্য সকলের প্রতি আহবানও জানান প্রধানমন্ত্রী।

পদকপ্রাপ্ত জিয়াউল হকের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দরিদ্র একজন মানুষ সমাজকে নিয়ে ভেবেছেন, কাজ করেছেন, দই বিক্রি করে পাঠাগার করেছেন। তিনি আমাকে বলেছেন- ওই পাঠাগারের স্থায়ী জমি দরকার। তার করে দেওয়া স্কুলটিও সরকারি করার জন্য বলেছেন। আমি খোঁজখবর নেব। তাদের জন্য কাজ করবো, জাতির পিতার কন্যা হিসেবে বলছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘কারও কাছে হাত পেতে নয়, ভিক্ষা করে নয়, আমরা আত্মমর্যাদা নিয়ে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলব। কারণ, একুশ আমাদের মাথানত না করা শিখিয়েছে। কাজেই, আমরা মাথানত করে নয়, মাথা উঁচু করে চলব।’

এবার একুশে পদকে ভূষিত ব্যক্তিরা হচ্ছেন—ভাষা আন্দোলনে মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর), ভাষা আন্দোলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর), শিল্পকলায় (সংগীত) জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), শিল্পকলায় (সংগীত) বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, শিল্পকলায় (সংগীত) বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), শিল্পকলায় (সংগীত) এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর), শিল্পকলায় (সংগীত) শুভ্রদেব, শিল্পকলায় (নৃত্যকলা) শিবলী মহম্মদ, শিল্পকলায় (অভিনয়) ডলি জহুর, শিল্পকলায় (অভিনয়) চিত্রনায়ক এম এ আলমগীর, শিল্পকলায় (আবৃত্তি) খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা), শিল্পকলায় (আবৃত্তি) রূপা চক্রবর্তী, শিল্পকলায় (চিত্রকলা) শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, শিল্পকলায় (মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিং) কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক, সমাজসেবায় রফিক আহামদ, ভাষা ও সাহিত্যে মুহাম্মদ সামাদ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য), ভাষা ও সাহিত্যে লুৎফর রহমান রিটন, ভাষা ও সাহিত্যে মিনার মনসুর, ভাষা ও সাহিত্যে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর) ও শিক্ষায় অধ্যাপক জিনবোধি ভিক্ষু।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন পদক বিতরণ পর্ব সঞ্চালনা করেন এবং পদক বিজয়ীদের ‘সাইটেশন’ পাঠ করেন।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসনা জাহান খানম স্বাগত বক্তব্য দেন।

সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, সরকারের ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীসহ বিশিষ্ট আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
About Author Information

Md Rasel Mia

জনপ্রিয় নিউজ

বাজারে সিন্ডিকেটকারীরা প্রকৃত মুসলমান নয়:শায়েখ আহমাদুল্লাহ

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল : প্রধানমন্ত্রী

সময়ঃ ০৪:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একুশ মাথানত না করতে শিখিয়েছে। তাই মাথা উঁচু করে জাতিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে ‘একুশে পদক-২০২৪’ প্রদানকালে দেওয়া প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

এসময় দেশ ও মানুষের জন্য যারা নিবেদিত হয়ে কাজ করছে সেসব ত্যাগী মানুষদের খুঁজে বের করার জন্য সকলের প্রতি আহবানও জানান প্রধানমন্ত্রী।

পদকপ্রাপ্ত জিয়াউল হকের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দরিদ্র একজন মানুষ সমাজকে নিয়ে ভেবেছেন, কাজ করেছেন, দই বিক্রি করে পাঠাগার করেছেন। তিনি আমাকে বলেছেন- ওই পাঠাগারের স্থায়ী জমি দরকার। তার করে দেওয়া স্কুলটিও সরকারি করার জন্য বলেছেন। আমি খোঁজখবর নেব। তাদের জন্য কাজ করবো, জাতির পিতার কন্যা হিসেবে বলছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘কারও কাছে হাত পেতে নয়, ভিক্ষা করে নয়, আমরা আত্মমর্যাদা নিয়ে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলব। কারণ, একুশ আমাদের মাথানত না করা শিখিয়েছে। কাজেই, আমরা মাথানত করে নয়, মাথা উঁচু করে চলব।’

এবার একুশে পদকে ভূষিত ব্যক্তিরা হচ্ছেন—ভাষা আন্দোলনে মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর), ভাষা আন্দোলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়া (মরণোত্তর), শিল্পকলায় (সংগীত) জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), শিল্পকলায় (সংগীত) বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ, শিল্পকলায় (সংগীত) বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), শিল্পকলায় (সংগীত) এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর), শিল্পকলায় (সংগীত) শুভ্রদেব, শিল্পকলায় (নৃত্যকলা) শিবলী মহম্মদ, শিল্পকলায় (অভিনয়) ডলি জহুর, শিল্পকলায় (অভিনয়) চিত্রনায়ক এম এ আলমগীর, শিল্পকলায় (আবৃত্তি) খান মো. মুস্তাফা ওয়ালীদ (শিমুল মুস্তাফা), শিল্পকলায় (আবৃত্তি) রূপা চক্রবর্তী, শিল্পকলায় (চিত্রকলা) শাহজাহান আহমেদ বিকাশ, শিল্পকলায় (মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিং) কাওসার চৌধুরী, সমাজসেবায় মো. জিয়াউল হক, সমাজসেবায় রফিক আহামদ, ভাষা ও সাহিত্যে মুহাম্মদ সামাদ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য), ভাষা ও সাহিত্যে লুৎফর রহমান রিটন, ভাষা ও সাহিত্যে মিনার মনসুর, ভাষা ও সাহিত্যে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ (মরণোত্তর) ও শিক্ষায় অধ্যাপক জিনবোধি ভিক্ষু।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন পদক বিতরণ পর্ব সঞ্চালনা করেন এবং পদক বিজয়ীদের ‘সাইটেশন’ পাঠ করেন।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাসনা জাহান খানম স্বাগত বক্তব্য দেন।

সরকারের মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, সরকারের ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পীসহ বিশিষ্ট আমন্ত্রিত অতিথিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।