আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কৃষক লীগের ধানমন্ডি শাখা, বনানী শাখা, গুলশান শাখা, বারিধারা শাখা,মতিঝিল শাখা সহ সিটি বা মহানগরে কৃষক লীগের কোনো শাখার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। এক সময় এমনও ছিল যে, বিদেশে ও কৃষক লীগর শাখা ছিল।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটুর সঞ্চালনায় আলোচনা আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদুন্নাহার লাইলী।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতাকর্মীসহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু কৃষক নেতা শহিদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে কৃষক লীগের কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় ব্যারিস্টার বাদল রশিদকে সভাপতি ও আব্দুর রউফকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করেন।
১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর কৃষি ও কৃষকের কল্যাণে কৃষক লীগকে পুনর্গঠন করেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে সমীর চন্দকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
দিনটি উপলক্ষে আজ সকাল সাড়ে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল সাড়ে ৭টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে ধানমন্ডির ৩২ পর্যন্ত আনন্দ শোভাযাত্রা, সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
সকাল ১০টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নেতাকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় এবং কেক কাটা হয়। এ ছাড়া বিকাল ৩টায় রাজধানীর কৃষি ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।