স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেটে বিভিন্ন পণ্যের ওপর শুল্ক ও কর হ্রাসের প্রস্তাবনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা থেকে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী দেশের ৫৩তম বাজেট উপস্থাপন করছেন। সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার শীর্ষক বাজেটে বিভিন্ন পণ্যের দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার স্থিতিশীল রাখা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে অন্তত ২৭ প্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্য সরবরাহের ওপর উৎসে কর কমানো হচ্ছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এসব পণ্যে উৎসে কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হচ্ছে। পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে- পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্যতেল, চিনি, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডাল, ভুট্টা, ময়দা, আটা, লবণ, গোলমরিচ, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা এবং সব ধরনের ফলসহ ৩০ পণ্য। প্যাকেটজাত গুঁড়াদুধ আমদানিতে করহার কমানো হচ্ছে। আড়াই কেজি ওজন পর্যন্ত গুড়া দুধের ওপর করহার ৮৯.৩২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫৮.৬০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে চকোলেট আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হচ্ছে।
১৫ শতাংশ ট্যাক্স দিয়ে কালো টাকা সাদা করা যাবে:অর্থমন্ত্রী
প্রস্তাবিত বাজেটে ল্যাপটপ আমদানিতে মোট কর কমানো হচ্ছে।
আমদানিকারকদের বর্তমানে ল্যাপটপ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্কসহ মোট ৩১ শতাংশ শুল্ক-কর দিতে হচ্ছে। তবে প্রস্তাবিত বাজেটে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ এবং ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কম্পিউটার ও কম্পিউটার সামগ্রী আমদানির জন্য আমদানিকারক কোনো শর্ত ছাড়াই শুধুমাত্র ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রদান করে সব ধরনের কম্পিউটার ও প্রিন্টারের যন্ত্রাংশ ইত্যাদি আমদানি করতে পারে। যা প্রকৃত কম্পিউটার সামগ্রী উৎপাদকদের জন্য অসুবিধাজনক। প্রস্তাবিত বাজেটে ওই শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে। নির্মাণ সামগ্রী আমদানিতে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত সুইচ-সকেটের দাম কমতে পারে। ইলেকট্রিক মোটর উৎপাদনে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
দেশের প্রথম ডিজিটাল ব্যাংকের অনুমোদন পেল নগদ
এভিয়েশনখাতের উত্তরণকল্পে ইঞ্জিন-প্রপেলার আমদানি পর্যায়ে মূসক কমতে পারে। দেশে তৈরি মোটরসাইকেলের সিকেডি ইঞ্জিনের পার্টস আমদানির শুল্ক কমানো হচ্ছে। কিডনি ডায়ালাইসিসে ব্যবহৃত ফিল্টার ও সার্কিট আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে এক শতাংশ করা হচ্ছে। কার্পেট তৈরির প্রধান কাঁচামাল পলিপ্রেপাইলিন ইয়ার্ন আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় কিট আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেয়া হচ্ছে। যদিও ডেঙ্গু রোগীদের এনএস-১ অ্যান্টিজেন পরীক্ষার খরচ সরকারি হাসপাতালের জন্য ১০০ টাকা এবং বেসরকারি হাসপাতালের জন্য ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা আছে। বাজার নিয়ন্ত্রণের আমদানিতে রেয়াতি সুবিধা দেয়া হবে। ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে রেয়াতি সুবিধার আওতায় নতুন কিছু কাঁচামাল যোগ হচ্ছে।