স্টাফ রিপোর্টার :আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যাবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠলো দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৫৬ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। জবাবে ৬৭ বল হাতে রেখে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা।
অল্প রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কুইন্টন ডি কক আউট হলেও রেজা এনড্রিক্স ও অধিনায়ক এইডেন মার্করামের অপরাজিত জুটিতে ম্যাচ জিতে ফাইনালে পা রাখে প্রোটিয়ারা। এনড্রিক্স ও মার্করামের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ২৯ ও ২৩ রান।
এর আগে, টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে আফগানরা। দলীয় ২০ রানে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারায় তারা। রহমানউল্লাহ গুরবাজকে সাজঘরে ফিরিয়ে প্রোটিয়াদের উইকেট উৎসবের শুরুটা করেন মার্কো জানসেন। এরপর গুলবাদিন নাইবকেও বোল্ড আউট করে প্যাভিলিলিয়নের পথ দেখান তিনি। জানসেনের পর্ব শেষ হলে আফগান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন কাগিসো রাবাদা। একে একে বিদায় করেন ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবিকে। মাত্র ২০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে আফগানিস্তান।
দলীয় স্কোরবোর্ডে আর ৮ রান যোগ হতেই বিদায় নেয় আরও দুই ব্যাটার। জানসেনের বলে ডি ককের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন নাঙ্গেয়ালিয়া খারোতে। দলের একমাত্র দুই অঙ্কের রানে পৌঁছানো ব্যাটার আজমতউল্লাহ ওমরজাই আউট হন ১০ রান করে। নর্টজের বলে স্টাবসের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। দলীয় সংগ্রহ তখন ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২৮ রান। বাকিদের ব্যাটও হাসেনি এদিন। আফগানিস্তানের টেলএন্ডারে পরপর তিনটি আঘাত হানেন তাবরাইজ শামসি। একে একে প্যাভিলিয়নে ফেরান করিম জানাত, নুর আহমেদ ও নাভিন উল হককে। রশিদ খানকে ফেরান নর্টজে। অতিরিক্ত ১৩ রানের সুবাদে ১১ ওভার ৫ বলে মাত্র ৫৬ রানে থামে আফগানিস্তানের ইনিংস।
প্রোটিয়াদের পক্ষে ৩টি করে উইকেট তুলে নেন জানসেন ও শামসি। ২টি করে উইকেট পান রাবাদা ও নর্টজে।
উল্লেখ্য, আগামী শনিবার (২৯ জুন) বার্বাডোসের কেনসিংটন ওভালে ভারত-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জয়ী দলের বিপক্ষে ফাইনালে নামবে প্রোটিয়ারা।