নিজস্ব প্রতিবেদন:ছাগলকাণ্ডে যখন দেশজুড়ে আলোচনা চলছে ঠিক এমন সময় খুশি খবর নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লক্ষ্যে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে সকল ব্যাংকে নির্দেশনা দিয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক গঠিত ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে ছাগল ও গাড়ল পালনে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাওয়া যাবে। ভেড়া পালনেও একই রকম সুদে মিলবে ঋণ।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে কেবল গরু মোটাতাজাকরণ, পোল্ট্রি, দুগ্ধ উৎপাদন এবং শস্য ও ফসল চাষে এই স্কিম থেকে ঋণ মিলত। একই সঙ্গে এ স্কিমের মেয়াদ ৬ মাস বাড়িয়ে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। এতে দেশে ছাগল বৃদ্ধির সঙ্গে মাংসের চাহিদা পূরণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক গঠিত পাঁচ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে ছাগল ও ভেড়া পালনে চার শতাংশ সুদে ঋণ পাওয়া যাবে। গাড়ল পালনেও একই রকম সুদে মিলবে ঋণ। এতদিন কেবল গরু মোটাতাজাকরণ, পোলট্রি, দুগ্ধ উৎপাদন এবং শস্য ও ফসল চাষে এই স্কিম থেকে ঋণ মিলত। একই সঙ্গে এ স্কিমের মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়ে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আব্দুর রউফ তালুকদার গভর্নরের দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২২ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব উৎস থেকে কৃষি খাতের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার এ তহবিল গঠন করা হয়। এর নাম দেওয়া হয় ‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষি খাতের জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’। তহবিলের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী ৩০ জুন। তবে বৃহস্পতিবার সার্কুলারে স্কিমের মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, চুক্তিবদ্ধ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এ তহবিল থেকে মাত্র শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ সুদে তহবিল নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করতে পারবে।
এ তহবিল থেকে গরু মোটাতাজাকরণ, পোলট্রি ও দুগ্ধ উৎপাদন, ধান, শাক-সবজি, ফল, ফুল চাষের জন্য ঋণ নেওয়া যায়। প্রাণিসম্পদে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা এবং শস্য ও ফসল চাষে জামানতবিহীন দুুুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। এসবের বাইরে অন্যান্য খাতে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম জামানত বা সহজামানত বিষয়ে ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে। তবে এখান থেকে ঋণ নিয়ে কোনোভাবে পুরাতন ঋণ সমন্বয় করা যাবে না।