স্টাফ রিপোর্টার:যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, ”এই অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রের পথ প্রশস্থ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের যোগাযোগ রয়েছে। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ারও যোগ দিয়েছিলেন।”
জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টা শ্রদ্ধা
মিলার বলেছেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনুস “সহিংসতা বন্ধ করার যে আহ্বান করেছেন, তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আমরা চাই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ড. মুহাম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের জন্য একটি গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ তৈরি করুক। আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’
ইইউ-র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বরেল জানিয়েছেন,” বাংলাদেশের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের যে কাজ করবেন, তাতে ইইউ সহায়তা করবে। এই প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হতে হবে।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ বলেছেন, ”অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে তার এই নতুন দায়িত্বগ্রহণের জন্য আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আমরা আশা করি, খুব দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে এবং হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।”
মোদী বলেছেন, ”ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে দায়বদ্ধ। শান্তি, সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য আমরা দুই দেশের মানুষের আকাঙ্খা পূরণ করব।”
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, ”চীন অন্তর্বর্তী সরকারের গঠনকে স্বাগত জানাচ্ছে। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা ও সম্পর্ক বাড়াতে চায়।”
মুখপাত্র জানিয়েছেন, ”চীন কখনই কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে না। বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়নের যে পথ বেছে নিয়েছে, চীন তাকে শ্রদ্ধা জানায়। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে চীন খুবই গুরুত্ব দেয়। দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।”
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. ইউনূসকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ”বাংলাদেশকে সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার সাফল্য কামনা করছি। আমি আপনার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার দিকে তাকিয়ে আছি। ভবিষ্যতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা যাতে আরো গভীর হয়, আমরা সেই চেষ্টা করব।”