জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশনে (ইউএনজিএ) যোগদানের জন্য নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার ভোরে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। নিরাপত্তা, গণমাধ্যমসহ সব মিলিয়ে মোট ৫৭ জন প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে নিউইয়র্ক যাচ্ছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সিলভার ট্রেনের মডেল, ফার্স্ট লেডিকে পশমিনা শাল উপহার মোদীর
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ বিতর্কে বক্তৃতা দেওয়ার কথা রয়েছে ড. ইউনূসের। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন শনিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সংক্রান্ত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
এ বছর সাধারণ বিতর্কের প্রতিপাদ্য হলো- ‘কাউকে পেছনে ফেলে নয় : বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক মর্যাদার অগ্রগতির জন্য একযোগে কাজ করা।’
বিশ্বব্যাপী আস্থার সঙ্কট, বহুপাক্ষিকতা ও আলোচনার পথ উপেক্ষা করার ফলে সৃষ্ট সঙ্কট থেকে সংঘাত, মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতির পাশাপাশি উদ্ভূত নানারকম বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবং টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে কার্যকর ও সমন্বিত পদক্ষেপের অনুপস্থিতি ইত্যাদি প্রেক্ষাপটে এবারের প্রতিপাদ্যটি অত্যন্ত অর্থবহ।
জাতিসংঘের অধিবেশনের ফাঁকে ড. ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তার বক্তৃতায় তিনি বাংলাদেশে গত দুই মাসে গণ-অভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরবেন এবং একটি গণমুখী, কল্যাণধর্মী ও জনস্বার্থমূলক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রতি তার অঙ্গীকার পুনরুল্লেখ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার বক্তৃতায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক সংঘাত, রোহিঙ্গা সংকট, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমস্যা, সম্পদের অবৈধ পাচার রোধ, অভিবাসী অধিকার রক্ষার মতো বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। প্রধান উপদেষ্টা মাত্র তিনদিন নিউইয়র্কে থাকবেন। প্রধান উপদেষ্টা পূর্ববর্তী সরকার প্রধানদের মতো চার্টার ফ্লাইটে নয়, বাণিজ্যিক ফ্লাইটে যাতায়াত করবেন।’