০৪:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে পূজা অনুষ্ঠানে গান গাওয়া শিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই :ছাত্রশিবির সভাপতি

  • Md Mizanur Rahman
  • সময়ঃ ০১:২৩:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
  • ২৩ সময়

স্টাফ রিপোর্টার:চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপের অনুষ্ঠানে ইসলামিক গান গাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই গান গাওয়ার অভিযোগটি করা হচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার  রাতে এ বিষয়ে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি রেখে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ,প্রতি শাখায় ৫৫জেনে, নিন সব তথ্য

পোস্টে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে পূজা অনুষ্ঠানে গান গাওয়া নিয়ে ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই’।

এদিকে চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে গান গাওয়া নিয়ে ছাত্রশিবিরের অবস্থান তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলামও। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন-

পূজামণ্ডপে ইসলামিক সংগীত পরিবেশন, মামলার সিদ্ধান্ত

এক : এই ঘটনার সাথে অনেকেই ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় লিখছেন। আমি দায় নিয়ে বলছি, এর সাথে ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

দুই : শিবির কারও ধর্মীয় অনূভুতিতে আঘাত করে এমন কাজকে কখনোই সমর্থন করে না। তাই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

তিন : ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে স্পষ্ট দাবি জানাচ্ছি, একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত সত্য সবার সামনে উঠে আসুক। কেউ দোষী হলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি দেওয়া হোক।

চার : সত্যতা যাচাই না করেই যারা বিভিন্ন সময়ে শিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালায়, তারা একটা সময় গিয়ে নিজেদের বিবেকের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ হবেন। এ ধরণের কাজ থেকে ভবিষ্যতে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে শারদীয় দুর্গোৎসবের মঞ্চে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করে একদল তরুণ। চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে নগরের জেএম সেন হলের শারদীয় দুর্গোৎসবের মঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পাঁচজন মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’ শিরোনামে একটি ইসলামী সংগীত পরিবেশন করছেন। সংগীতটির গীতিকার চৌধুরী আবদুল হালিম। এ নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে থাকা অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ ঘটনার অভিযোগে চট্টগ্রাম কালচারাল অ্যাকাডেমির কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইসলামিক সংগীত পরিবেশনের সুযোগ দেওয়ায় সজল দত্তকে পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

About Author Information

Md Mizanur Rahman

জনপ্রিয় নিউজ

জানুয়ারি থেকে স্কুল-কলেজের সব শিক্ষকের এমপিও ইএফটিতে

চট্টগ্রামে পূজা অনুষ্ঠানে গান গাওয়া শিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই :ছাত্রশিবির সভাপতি

সময়ঃ ০১:২৩:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার:চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপের অনুষ্ঠানে ইসলামিক গান গাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই গান গাওয়ার অভিযোগটি করা হচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট জবাব দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার  রাতে এ বিষয়ে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি রেখে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ,প্রতি শাখায় ৫৫জেনে, নিন সব তথ্য

পোস্টে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামে পূজা অনুষ্ঠানে গান গাওয়া নিয়ে ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই’।

এদিকে চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে গান গাওয়া নিয়ে ছাত্রশিবিরের অবস্থান তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলামও। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন-

পূজামণ্ডপে ইসলামিক সংগীত পরিবেশন, মামলার সিদ্ধান্ত

এক : এই ঘটনার সাথে অনেকেই ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় লিখছেন। আমি দায় নিয়ে বলছি, এর সাথে ছাত্রশিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

দুই : শিবির কারও ধর্মীয় অনূভুতিতে আঘাত করে এমন কাজকে কখনোই সমর্থন করে না। তাই এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

তিন : ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে স্পষ্ট দাবি জানাচ্ছি, একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত সত্য সবার সামনে উঠে আসুক। কেউ দোষী হলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি দেওয়া হোক।

চার : সত্যতা যাচাই না করেই যারা বিভিন্ন সময়ে শিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালায়, তারা একটা সময় গিয়ে নিজেদের বিবেকের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ হবেন। এ ধরণের কাজ থেকে ভবিষ্যতে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।

এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামে শারদীয় দুর্গোৎসবের মঞ্চে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করে একদল তরুণ। চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে নগরের জেএম সেন হলের শারদীয় দুর্গোৎসবের মঞ্চে এ ঘটনা ঘটে।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পাঁচজন মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম, বিশ্ব মানুষের কল্যাণে স্রষ্টার এই বিধান’ শিরোনামে একটি ইসলামী সংগীত পরিবেশন করছেন। সংগীতটির গীতিকার চৌধুরী আবদুল হালিম। এ নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে থাকা অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ ঘটনার অভিযোগে চট্টগ্রাম কালচারাল অ্যাকাডেমির কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইসলামিক সংগীত পরিবেশনের সুযোগ দেওয়ায় সজল দত্তকে পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।