স্টাফ রিপোর্টার:আইনজীবী তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে শুধুমাত্র এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভাইভা গ্রহণ করে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তিসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষানবিশ আইনজীবীর ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক বা দাপ্তরিক ঘোষণা চাওয়া হয়েছে। অন্যথায় পরবর্তীতে বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনের মতো কর্মসূচিতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে সংগঠনটি।
লিখিত বক্তব্যসহ ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক চৌধুরী হৃদয়। তিনি বলেন, শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা আদালতে গেলে তাদের কোনো সম্মান দেওয়া হয় না। বরং তাদের চেয়ে একজন মুহুরিকে আরও বেশি সম্মান দেওয়া হয়। দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি নিতে শিক্ষানবিশ আইনজীবীরা বাধ্য হবে।
সাবেক ১০ মন্ত্রীসহ ১৪ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ
ঘোষিত দাবিগুলো হলো- প্রথমত, বিতর্কিত লিখিত পরীক্ষা পদ্ধতি চিরতরে বাতিল করে শুধুমাত্র এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভাইভা হিসেবে সৌজন্য সাক্ষাৎকার নিয়ে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তি করা। দ্বিতীয়ত, ফলাফলে সংক্ষুব্ধ পক্ষের রিভিউয়ের সুযোগসহ যৌক্তিক ফি ধার্য করে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষায় ৪০ নম্বর পেলে পাস দিতে হবে এবং ভুল উত্তরের জন্য কোনো নেগেটিভ মার্ক কাটা যাবে না। তৃতীয় দাবি হলো–আইনজীবী তালিকাভুক্তি পদ্ধতির যেকোনো পরীক্ষায় একবার উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষানবিশকে আর কোনো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে না- এ নিয়ম কার্যকর করতে হবে। চতুর্থত, বার কাউন্সিল থেকে জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের কর্তৃত্ব প্রত্যাহার করতেই হবে। এবং সবশেষ দাবি হলো–প্রতি বছর দুইবার আইনজীবী তালিকাভুক্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষানবিশ আইনজীবী সংগঠনের সহ-সমন্বয়ক এ কে এন মাহমুদ হোসেন, তরিকুল ইসলাম, হারুনুর রশিদ, আব্দুল গোফরান, ইউনুস মল্লিক প্রমুখ।