তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসহ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে এই সংশোধনী আংশিক বাতিল ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সংবিধানে গণভোটের বিধান ফিরিয়ে এনেছেন আদালত।
যে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়েছিলো, সেই সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরতে আর কোনও বাধা রইলো না। একইসঙ্গে সংবিধানে যে কোনো সংশোধনী আনতে গণভোটের বিধানকেও পুনরুজ্জীবিত করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার সকালে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসহ বেশকিছু বিষয়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলে এ রায় ঘোষণা করেন।
হাইকোর্ট বেঞ্চ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলসহ বেশকিছু বিষয়ে আনা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আংশিক অবৈধ ঘোষণা করেন।
গত ৫ই ডিসেম্বর বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় ঘোষণার দিন হিসাবে আজ ধার্য করেছিলেন। এর আগে ৪ঠা ডিসেম্বর পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা দু’টি রিট আবেদনের শুনানি হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১১ সালের ৩০শে জুন পঞ্চদশ সংশোধনী আইন জাতীয় সংসদে পাস হয়। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেয়া হয়।
আগে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনে নির্বাচন করার বিধান থাকলেও ওই সংশোধনীতে পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিষয়টি সংযোজন করা হয়।
এ আইন চ্যালেঞ্জ করে গত ১৮ই আগাস্ট সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি রিট করেন।
প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ১৯ই আগস্ট রুল দেন হাইকোর্ট। রুলে পঞ্চদশ সংশোধনী কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।