১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের রফতানি করা খাদ্যদ্রব্যে ‘ক্যানসারের বিষ’ পেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

  • সময়ঃ ০১:৩৮:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  • ২৪ সময়

অনলাইন ডেস্ক :ভারতীয় খাদ্যদ্রব্যে ‘ক্যানসারের বিষ’! এমনই অভিযোগ তুলল ইউরোপীয় ইউনিয়নের খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগ। তাদের অভিযোগ, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ভারত থেকে রফতানি করা অন্তত ৫২৭টি খাদ্যপণ্যে ‘বিষ’ পেয়েছে তারা। এর মধ্যে বেশির ভাগই বাদাম, তিল, ভেষজ পদার্থ, মশলা, ডায়েট-ফুড জাতীয় খাদ্যবস্তু। ৮৭টি খাদ্যপণ্যকে সীমান্তেই আটকে দেওয়া হয়েছিল। বাকি খাদ্যদ্রব্যগুলি পরে বাজার থেকে সরানো হয়।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ইথিলিন অক্সাইড নামে একটি বর্ণহীন গ্যাস কীটনাশক ও জীবাণুমুক্ত করার রাসায়নিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। রাসায়নিকটি চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করতে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু খাদ্যদ্রব্যে এই রাসায়নিক কোনও ভাবে মিশে শরীরে ঢুকলে লিম্ফোমা এবং লিউকেমিয়া হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ভুক্ত দেশগুলিতে খাদ্য-নিরাপত্তা বিষয়টির উপর নজর রাখে ‘র্যা পিড অ্যালার্ট সিস্টেম ফর ফুড অ্যান্ড ফিড’ (আরএএসএফএফ)। তারা জানিয়েছে, ৫২৫টি খাদ্যদ্রব্যে রাসায়নিকটি পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ৩৩২টি দ্রব্য সরাসরি ভারত থেকে গিয়েছিল। বাকি খাদ্যদ্রব্যগুলিতেও ভারতের নাম জড়িয়ে রয়েছে।
একটি খাদ্যদ্রব্য পরীক্ষাকারী ল্যাবের মুখ্য আধিকারিক জুবিন জর্জ জোসেফ জানিয়েছেন, ইথিলিন অক্সাইড ছাড়াও আরও দু’টি রাসায়নিকের উপস্থিতি মিলেছে। তিনি বলেন, ‘‘এগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ইথিলিন গ্লাইকল। আফ্রিকায় কাশির সিরাপের মধ্যে এই রাসায়নিকটি পাওয়া গিয়েছিল। সিরাপ খেয়ে বহু শিশুর মৃত্যু হয়েছিল সেই ঘটনায়।’’ জোসেফের বক্তব্য, ইথিলিন অক্সাইড চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করতে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু একটা বিকল্প কিছু পাওয়া জরুরি। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতের খাবারের গুণমান ও নিরাপত্তা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ ‘দ্য ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যানডার্ডস অথরিটি’ (এফএসএসএআই)-র ভেবে দেখা উচিত, যদি বিকল্প জীবাণুনাশক হিসেবে গামা রশ্মির ব্যবহার করা যায়। তাদের উচিত বিভিন্ন শিল্প-সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে ভাবতে উৎসাহ দেওয়া।’’

এই পরিস্থিতিতে ভারতের এক সমাজকর্মী উদ্বেগপ্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘যে সব খাদ্যদ্রব্য বিদেশে রফতানি করা হয়, সেগুলি সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের। সেগুলোর যদি এই অবস্থা হয়, তা হলে স্থানীয় বাজারে যা বিক্রি হয়, তার কী অবস্থা কে জানে। সেগুলোও পরীক্ষা করা দরকার।’’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হলেন বিএনপির বহিষ্কৃত দুই ব্যক্তি

ভারতের রফতানি করা খাদ্যদ্রব্যে ‘ক্যানসারের বিষ’ পেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

সময়ঃ ০১:৩৮:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক :ভারতীয় খাদ্যদ্রব্যে ‘ক্যানসারের বিষ’! এমনই অভিযোগ তুলল ইউরোপীয় ইউনিয়নের খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগ। তাদের অভিযোগ, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ভারত থেকে রফতানি করা অন্তত ৫২৭টি খাদ্যপণ্যে ‘বিষ’ পেয়েছে তারা। এর মধ্যে বেশির ভাগই বাদাম, তিল, ভেষজ পদার্থ, মশলা, ডায়েট-ফুড জাতীয় খাদ্যবস্তু। ৮৭টি খাদ্যপণ্যকে সীমান্তেই আটকে দেওয়া হয়েছিল। বাকি খাদ্যদ্রব্যগুলি পরে বাজার থেকে সরানো হয়।

চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ভোট গ্রহণ ৫ই জুন

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ইথিলিন অক্সাইড নামে একটি বর্ণহীন গ্যাস কীটনাশক ও জীবাণুমুক্ত করার রাসায়নিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। রাসায়নিকটি চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করতে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু খাদ্যদ্রব্যে এই রাসায়নিক কোনও ভাবে মিশে শরীরে ঢুকলে লিম্ফোমা এবং লিউকেমিয়া হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ভুক্ত দেশগুলিতে খাদ্য-নিরাপত্তা বিষয়টির উপর নজর রাখে ‘র্যা পিড অ্যালার্ট সিস্টেম ফর ফুড অ্যান্ড ফিড’ (আরএএসএফএফ)। তারা জানিয়েছে, ৫২৫টি খাদ্যদ্রব্যে রাসায়নিকটি পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ৩৩২টি দ্রব্য সরাসরি ভারত থেকে গিয়েছিল। বাকি খাদ্যদ্রব্যগুলিতেও ভারতের নাম জড়িয়ে রয়েছে।
একটি খাদ্যদ্রব্য পরীক্ষাকারী ল্যাবের মুখ্য আধিকারিক জুবিন জর্জ জোসেফ জানিয়েছেন, ইথিলিন অক্সাইড ছাড়াও আরও দু’টি রাসায়নিকের উপস্থিতি মিলেছে। তিনি বলেন, ‘‘এগুলির মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক ইথিলিন গ্লাইকল। আফ্রিকায় কাশির সিরাপের মধ্যে এই রাসায়নিকটি পাওয়া গিয়েছিল। সিরাপ খেয়ে বহু শিশুর মৃত্যু হয়েছিল সেই ঘটনায়।’’ জোসেফের বক্তব্য, ইথিলিন অক্সাইড চিকিৎসা সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করতে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু একটা বিকল্প কিছু পাওয়া জরুরি। তাঁর কথায়, ‘‘ভারতের খাবারের গুণমান ও নিরাপত্তা বিষয়ক কর্তৃপক্ষ ‘দ্য ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যানডার্ডস অথরিটি’ (এফএসএসএআই)-র ভেবে দেখা উচিত, যদি বিকল্প জীবাণুনাশক হিসেবে গামা রশ্মির ব্যবহার করা যায়। তাদের উচিত বিভিন্ন শিল্প-সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে ভাবতে উৎসাহ দেওয়া।’’

এই পরিস্থিতিতে ভারতের এক সমাজকর্মী উদ্বেগপ্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘যে সব খাদ্যদ্রব্য বিদেশে রফতানি করা হয়, সেগুলি সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মানের। সেগুলোর যদি এই অবস্থা হয়, তা হলে স্থানীয় বাজারে যা বিক্রি হয়, তার কী অবস্থা কে জানে। সেগুলোও পরীক্ষা করা দরকার।’’